• প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণ বিল নিয়ে প্রতিবাদ, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে থাকবে না তৃণমূল
    এই সময় | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল। বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, বিলটিকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে (জেপিসি) পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু বিলটির বিরোধিতা করে জেপিসিতে কোনও প্রতিনিধি রাখবে না রাজ্যের শাসক দল, শোনা যাচ্ছিল এমনটাই। এ বার এই নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শনিবার একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তৃণমূল জেপিসিতে বিলটি পাঠানোর বিষয়টিকে ‘প্রহসন’ বলে কটাক্ষ করেছে।

    জোড়াফুল শিবির জানিয়েছে, ‘১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে প্রথম থেকেই সরব হয়েছে তৃণমূল। তাদের মতে, জেপিসি একটি প্রহসন। দলের পক্ষ থেকে কাউকে যৌথ সংসদীয় কমিটির জন্য মনোনীত করা হচ্ছে না।’ ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় লোকসভা এবং রাজ্যসভায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছিল তৃণমূল।

    এই নয়া বিল অনুযায়ী, কোনও মন্ত্রী গুরুতর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে টানা ৩০ দিন জেলে থাকলে অভিযুক্তের মন্ত্রিত্ব যাবে। আর তা থেকে বাদ যাবেন না প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীরাও।

    এই বিল প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, দুর্নীতি মুক্ত করার সদিচ্ছা নয়, বরং ক্ষমতা কুক্ষিগত করতেই এই বিল আনা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘৩০ দিন নয়, মুখ্যমন্ত্রী বা অন্যান্য মন্ত্রীরা তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে ১৫ দিন থাকলে তাঁদের পদ থেকে অপসারিত করা হোক। কিন্তু একটা শর্ত থাকতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে তাঁদের দোষ প্রমাণিত না হলে তদন্তকারী অফিসার, জয়েন্ট ডিরেক্টর প্রমুখদের দ্বিগুণ সময় জেল খাটতে হবে।’

    এ দিকে শুক্রবার প্রথমে বিহার এবং তার পরে খাস বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে এই বিলের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজনৈতিক পরিসরে যাতে স্বচ্ছতা বজায় রাখা যায়, সেই জন্যই এই বিল বলে বার বার দাবি করেছিলেন তিনি। মোদী নাম না করে তুলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গও। পাল্টা তৃণমূল দাবি করেছিল, ‘বিজেপির ২৪০ জন সাংসদ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯৪ জনের মধ্যে ক্রিমিনাল কেস রয়েছে। ৬৩ জনের বিরুদ্ধে সিরিয়াস কেস (গুরুতর অভিযোগ) রয়েছে।’ এই রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য শরিক দলগুলি কি একই পথে হাঁটবে? এখন সব নজর সেই দিকেই।

  • Link to this news (এই সময়)