• ফলতায় প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে ইলিশ ভাপা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • বর্ষা মানেই বাঙালির পাতে ইলিশ। তবে এবার শুধু বাড়ির রান্নাঘরেই নয়, ইলিশ পৌঁছে গেল অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়াদের পাতেও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা ব্লকের ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল ইলিশ উৎসব। মিড ডে মিলে ভাত, ডাল, ডিম, সয়াবিন খেয়ে অভ্যস্ত পড়ুয়াদের জন্য এদিন বিশেষ আয়োজন করেছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মেনুতে ছিল ইলিশ ভাজা, ইলিশ ভাপা সহ নানা পদ। মিড ডে মিলের ডাল-ভাতকে সরিয়ে সেই দিনের মধ্যাহ্নভোজে ইলিশের রাজকীয় উপস্থাপনায় মুগ্ধ খুদে পড়ুয়ারা।

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর জানান, ‘শুধু পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে আটকে না রেখে, পড়ুয়াদের জন্য বছরে একাধিক বার বিশেষ রান্নার আয়োজন করা হয়। এবারে বর্ষার ইলিশের স্বাদও তারা পাক, এটাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।’ বিদ্যালয়ে বর্তমানে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৪২৫। শ্যামসুন্দরপুর, রাজারামপুর, জালালপুর, তারাগঞ্জ, জাফরপুর, উত্তর বাসুল্লাট সহ আশপাশের গ্রাম থেকে আসা পড়ুয়াদের মধ্যে বহু সংখ্যালঘু ও মৎস্যজীবী পরিবারের সন্তান রয়েছে। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে পরিবেশন করেন ইলিশের পদগুলি।

    বিদ্যালয়ের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে খুশি এলাকাবাসীও। বিদ্যালয়টি শুধু শিক্ষার মানেই নয়, সামাজিক-সাংস্কৃতিক চর্চাতেও এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। ২০১৫ সালে জেলায় সেরা স্কুলের পুরস্কার, ২০১৭ সালে যামিনী রায় সম্মান এবং ২০২২ সালে প্রধান শিক্ষক তিলক নস্করের ‘শিক্ষারত্ন’ প্রাপ্তি তার প্রমাণ। বিদ্যালয়ের জমি দান করেছিলেন প্রভাকর মল্লিক। সেই ঐতিহ্যের পথ ধরে এগিয়ে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান। ইলিশ খেয়ে আনন্দে আত্মহারা এক পড়ুয়ারা বলে, ‘প্রতিদিন মিড ডে মিলে ডাল-ভাত পাই। কিন্তু আজকের মতো এমন খাবার আগে কখনও পাইনি। ডালের দিকে তাকাতেও ইচ্ছে করেনি।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)