পিয়ালি মিত্র: নিউ গড়িয়ায় বৃদ্ধা খুনে গ্রেফতার ২। আয়া আশালতা-ই খুন করেছে ওই বৃদ্ধাকে। হাত-মুখ বাঁধা মহিলার দেহ উদ্ধার কাণ্ডে গ্রেফতার আয়া আশালতা সর্দার ও তাঁর এক পুরুষ সঙ্গী। গ্রেফতার আশালতা সর্দার ও তাঁর বন্ধু জামাল। একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে হাতের আংটি ও বালাও।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পাথরপ্রতিমার বাসিন্দা আয়া আশালতা। একটি আয়া সেন্টারের মাধ্যমে কাজে যোগ দেন তিনি। রাত ৮টা থেকে সকাল ৮ পর্যন্ত ডিউটি ছিল তাঁর। প্রথম ডিউটিতে আসে ১৭ অগাস্ট। কিন্তু তারপরই ১৮, ১৯, ২০ অগাস্ট আবার কাজে আসেননি আশালতা। এরপর ফের ২১ অগাস্ট কাজে যোগ দেন তিনি। ওই দিন আয়া আশালতাকে আসতে দেখা যায় সিসিটিভিতে। কিন্তু তারপরই সিসিটিভি বন্ধ হয়ে যায়।
তদন্তে উঠে এসেছে সিসিটিভি অফ করে বৃদ্ধাকে বেঁধে রেখে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তারপর গয়না, মূর্তি চুরি করে আশালতা। সেইসময় বাইরে পাহারায় ছিলেন জামাল। জামাল-ই আগে লাইট ও সিসিটিভি কেটে দেয়। প্রসঙ্গত, নিউ গড়িয়া বৃদ্ধা খুন কাণ্ডে প্রথম থেকেই পুলিসের সন্দেহ ছিল আয়ার উপর। গতকালই পঞ্চসায়র থানার কাছে একটি বাড়িতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক বৃদ্ধা মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
বিজয়া দাস ও প্রশান্ত কুমার দাস নামে ওই বৃদ্ধ দম্পতি নিউ গড়িয়া আবাসনে থাকতেন। শুক্রবার সকালে কাজের লোক এসে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সাড়া পাননি। তারপরই সন্দেহ হয়। পরে ভিতরে গিয়ে দেখেন, সিঁড়ির কাছে পড়ে বৃদ্ধার হাত,পা, মুখ বাঁধা রক্তাক্ত নিথর দেহ। বৃদ্ধার মুখে সেলোটেপও লাগানো ছিল। ওদিকে বৃদ্ধকে উদ্ধার করা হয় খাটের নীচ থেকে।
দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে থাকেন জার্মানিতে। আর ছেলে কাজের সূত্রে মুম্বইতে। পঞ্চসায়র থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অভিজাত আবাসনে এই হাড়হিন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে।