• ডাক্তারি ইন্টার্নকে কলার ধরে মার, মালদা মেডিক্যালে উঠল থ্রেট কালচারের অভিযোগ
    এই সময় | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • ইন্টার্নকে মারধরের অভিযোগ অন্য এক ইন্টার্নের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর প্রিন্সিপালের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, কলেজে প্রকাশ্যে থ্রেট কালচার চলছে। কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগকে সামনে রেখে শনিবারও সরগরম মেডিক্যাল কলেজ চত্বর।

    গত ২১ অগস্টের ঘটনা। কর্তব্যরত এক ইন্টার্নকে হেনস্থা, মারধরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির তাঁরই ব্যাচের অন্য এক ইন্টার্নের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীদের তরফে এমবিবিএসের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী পৃথা রায়ের অভিযোগ, ‘একজন অন ডিউটি ইন্টার্নকে তাঁরই ব্যাচের এক ইন্টার্ন নিগ্রহ করেন। তিন দিন পার হতে চলল এখনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হলো না।’

    আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ওই ইন্টার্নকে কলার ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। প্রিন্সিপালকে জানানো হলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি বিষয়টি দেখছে। অথচ সিসিটিভি ফুটেজে সবই দেখা গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের আরও অভিযোগ, অভিযুক্তরা রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় আছেন। তাই কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করতে চাইছেন না।

    মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, ২১ অগস্ট সার্জিক্যাল বিভাগে এক মহিলা ইন্টার্নের সঙ্গে এক পুরুষ ইন্টার্নের কোনও এক বিষয় নিয়ে বিবাদ হয়। এর পরেই ওই মহিলা ইন্টার্নের এক বন্ধু, যিনি মালদা মেডিক্যাল কলেজেই ইন্টার্ন করছেন, তিনি মারধর করেন বলে অভিযোগ।

    ঘটনার দিনই দু’পক্ষ ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে যান। শুক্রবার আক্রান্ত ইন্টার্নের পরিবারের লোকজন মালদা মেডিক্যালে পৌঁছন। বিকেল থেকে অভিযুক্ত ইন্টার্নের সাসপেন্ডের দাবিতে প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়ের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের একাংশ। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের স্টেটমেন্ট রেকর্ড করার জন্য ডেকেছিলাম। অভিযোগকারীরাও ছিলেন সেখানে। দু’পক্ষই ইমেলে আমাকে অভিযোগ জানিয়েছে। সেই মতো তদন্ত কমিটিও তৈরি করেছি। সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। সোম-মঙ্গলের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছি। কিন্তু সেই সময়ও দেওয়া হচ্ছে না।’

    প্রিন্সিপাল জানান, সিসিটিভি দেখতে চেয়েছিলেন অভিযোগকারীরা, তা দেখানোও হয়। ফুটেজের আগাগোড়া না দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। তবে থ্রেট কালচারের অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)