কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় চার্জশিট জমা পড়ল। শনিবার আলিপুর আদালতে সাড়ে ৬০০ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার ৫৮ দিনের মাথায় জমা পড়ল চার্জশিট। আদালত সূত্রে খবর, ৮০ জনের কাছাকাছি সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, জইব আহমেদ, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সূত্রের খবর, গণধর্ষণ, আটকে রাখা, প্রাণনাশের হুমকি-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারাও। প্রথম থেকেই নির্যাতিতা অভিযোগ তুলেছিলেন, নিরাপত্তারক্ষীর রুমে তাঁর উপরে যখন অত্যাচার করা হয়, তার ভিডিয়োও করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, পরে ব্ল্যাকমেল করা। ধৃতদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে তদন্তকারীরা ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠিয়ে বেশ কিছু ভিডিয়ো উদ্ধারও করেন বলে সূত্রের দাবি।
গত ২৫ জুনের ঘটনা। কসবার আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার হন ওই কলেজেরই প্রাক্তনী মনোজিৎ মিশ্র ও তাঁর দুই শাগরেদ জইব ও প্রমিত। মনোজিৎ শুধু এই কলেজের প্রাক্তনীই নন, তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা হিসেবেও পরিচিত। একই সঙ্গে ওই কলেজের অস্থায়ী কর্মীও ছিলেন। যদিও এই ঘটনার পরে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয় প্রমিত ও জইবকে।
ঘটনার পর পরই গ্রেপ্তার হন তিন জন। গ্রেপ্তার হন কলেজের নিরাপত্তারক্ষীও। বয়ান রেকর্ড করা হয়, বয়ানের ভিত্তিতে কলেজে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করানো হয় ঘটনার। আপাতত জেল হেফাজতেই তাঁরা। মঞ্জুর হয়নি জামিনের আর্জি। এ বার চার্জশিটও দাখিল হলো আদালতে।
এ দিন দুপুর ২টোর কিছু পরে তদন্তকারী অফিসার বা আইও এই চার্জশিট নিয়ে আদালতে পৌঁছন। আলিপুর কোর্টের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তা খতিয়ে দেখা হয় এবং বিচারক তা গ্রহণ করেন।
তবে এ দিন ধৃত চার জনের কাউকেই আদালতে আনা হয়নি। শুক্রবাইর আলিপুর আদালতে তোলা হলে তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।