• বিষ্ণুপুরের বাসিন্দাকে ‘বাংলাদেশি’ বলে হেনস্থা মুম্বইয়ে, ‘এক ডাকে অভিষেক’-এ ফোন করে মিলল সুরাহা
    এই সময় | ২৪ আগস্ট ২০২৫
  • ফের বাংলার পরিযায়ী শ্রমিককে হেনস্থার অভিযোগ। মুম্বইয়ে কর্মরত থাকাকালীন ‘বাংলাদেশি’ বলে কটূক্তি, মারধরের অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা সাইফুল শেখের। অর্থ ও আশ্রয় হারিয়ে ফোন করেন ‘এক ডাকে অভিষেক-এ। অবশেষে বৃহস্পতিবার নিজের বাড়ি ফিরতে পেরেছেন সাইফুল।

    নিজের স্ত্রী ও ১৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে গত ১৪ বছর ধরে মুম্বইয়ের দাদারে থাকতেন সাইফুল। একটি বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। সাইফুলের দাবি, সম্প্রতি পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় কথা বলার জন্য তাঁকে ‘বাংলাদেশি’ বলে কটূক্তি করা হতো। তাঁর কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করা হয়, এমনকী শারীরিক নির্যাতনও করা হয় বলেও অভিযোগ।

    সম্প্ৰতি বাড়িওয়ালা তাঁকে ঘর খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই এলাকায় থাকতে দেওয়ার বদলে পুলিশে তাঁর কাছে পরিবারের সদস্যপিছু ৫০ হাজার টাকা চায় বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক ভাবেও সমস্যার মধ্যে পড়েন সাইফুল। কোনও উপায় না দেখে ‘এক ডাকে অভিষেক’-এ যোগাযোগ করেন তিনি। উল্লেখ্য, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে নাগরিকদের সুবিধার্থে ২০২২ সালে টোল ফ্রি নম্বরের মাধ্যমে নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ‘এক ডাকে অভিষেক’-এ ফোন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য বাবন গাজি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বাড়ি ফিরে আসার জন্য টাকা পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সাইফুল পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসেন বিষ্ণুপুরে। জেলা পরিষদ সদস্য বাবন সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

    বিষয়টি নিয়ে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দিলীপ মণ্ডল বলেন, ‘এই অঞ্চলের একাধিক শ্রমিককে আমরা আগেও ফিরিয়ে এনেছি। এই ক্ষেত্রেও খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত তাঁকে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছি। বাংলা বলার জন্য এ ধরনের হেনস্থা কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না। আমি তাঁদের পরিবারের পাশে আছি। মুখ্যমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছেন, সকল পরিযায়ী শ্রমিকের পাশে থাকবেন।’ উল্লেখ্য, এর আগে মুম্বইয়ে বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিকের আটকে থাকার খবর পেয়ে প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২ অগস্ট মুম্বাইয়ে উড়ে গিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের চার নেতা।

  • Link to this news (এই সময়)