আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রকাশ্য রাস্তায় মদ্যপান করছিলেন একদল তরুণ তরুণী। প্রতিবাদ করতেই বেধড়ক মার খেতে হল শিক্ষককে। ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘরিয়ার নন্দননগর এলাকায়। জানা গিয়েছে, এই শিক্ষকের নাম নিরুপম পাল। ওই শিক্ষক নিরুপম পালকে রাস্তার ধারে প্রতিবাদ করার কারণে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, মদ্যপানরত কয়েকজন যুবক-যুবতী তার উপর চড়াও হন এবং নাক-মুখ ফাটিয়ে, চোখ ও বুকেও আঘাত করেন। গোটা ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন সকলেই। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর ৬টার দিকে। নিরুপম পাল নামে ওই শিক্ষক জানান, কালীপুজোর নিমন্ত্রণ রক্ষা করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। রাস্তাঘাটে চারজন যুবক এবং এক যুবতীকে মদ্যপান করতে দেখেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানান তিনি। অভিযোগ, তখনই পাঁচজন মিলে তাকে মারধর শুরু করে। স্থানীয়রা না-বাঁচালে তিনি রাস্তাতেই গুরুতরভাবে আহত হতেন। মারধরের পুরো ঘটনাটি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, নিরুপম পালকে কিল-ঘুসি ও লাথি মারা হচ্ছে, এবং তিনি হাত দিয়ে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করছেন।
ফুটেজে এক যুবতীকেও মারধর করতে দেখা গেছে। যদিও ফুটেজের সত্যতা এখনও যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। ওই শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, ‘আমি ওই যুবকদের বলেছিলাম, সকাল হয়ে গেছে, এ সব কী করছ? তার পরেই তারা আমাকে লক্ষ্য করে তেড়ে আসে এবং মারধর শুরু করে। স্থানীয়রা না-বাঁচালে মরেই যেতাম। ভবিষ্যতে আবারও তারা আক্রমণ করতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি’। ওই শিক্ষক বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন, ‘আমাদের এলাকায় আগে এমন ঘটত না। অভিযুক্তরা সম্ভবত প্রত্যেকেই বহিরাগত। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে কঠোর ব্যবস্থা নিক’। বেলঘরিয়া থানার কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন নিরুপম এবং স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা এখনও পর্যন্ত অধরা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বাকিদের খুঁজছে পুলিশ। সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের প্রত্যেকেই নিমতার বাসিন্দা। ধৃত একজনকে জেরা করে বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরের বকুলতলা থানার বুইচবাটি গ্রামে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে মত্তদের বিরুদ্ধে।
ঘটনায় হাতা, খুন্তি ও লাঠি হাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলারা। দোষীকে গ্রেপ্তার করার দাবি নিয়ে হয় রাস্তা অবরোধ। জানা যায়, ওই গ্রামে বাড়ির পাশে কয়েকজন মত্ত যুবক গালিগালাজ করছিল। প্রতিবাদ করা হলে তারা এলাকায় বোমা নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান, পরের দিন সকালে ফের তারা হামলা চালায়। ঘটনায় তিনজন গুরুতর আহত হন। তাঁদের মধ্যে সায়েম খান নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে প্রথম নিমপিঠ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।সেখানেও তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু ঘটে বলে জানা গিয়েছে। এই খবর গ্রামে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। দোষীর গ্রেপ্তারের দাবিতে চলে রাস্তা অবরোধ।