পাঞ্জাবের মানুষ 'গদ্দারি' করতে জানে না বলেও পাঞ্জাবের সাংসদকে তুমুল আক্রমণ কল্যাণের ...
আজকাল | ২৪ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাঞ্জাবের মানুষ গদ্দারি করতে জানে না। কিন্তু একজনকে দেখলাম সে গদ্দারি করতে জানে। বিজেপি সাংসদ ও রেল দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী রবনিত সিং বিট্টুকে একথা বলে তুমুল আক্রমণ তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কল্যাণের অভিযোগ, বিট্টু মহিলাদেরও সম্মান জানাতে জানেন না। পাল্টা জবাবে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহাও আক্রমণ শানিয়েছেন কল্যাণের বিরুদ্ধে। বিট্টু সম্পর্কে কল্যাণ বলেন, পাঞ্জাবের মানুষ সেই স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকেই বা তার আগে থেকেই অত্যন্ত দেশপ্রেমিক এবং নিষ্ঠাবান মানুষ। তাঁরা গদ্দারি করতে জানেন না। কিন্তু একজনকে দেখলাম যে পাঞ্জাবের মানুষ হয়েও গদ্দারি করতে জানে। সে হল এখন যে মন্ত্রী হয়েছেন সেই বিট্টু। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে গিয়েছেন।'
কল্যাণের কথায়, 'বিট্টু যখন কংগ্রেসে ছিলেন তখন লোকসভায় 'ওয়েল'-এ নেমে এসে চেঁচামেচি করতেন। এমনকী স্পিকারের চেয়ারও উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তখন অমিত শাহ'রা ওঁকে এমন ধমকালেন যে ভয়ে বিজেপিতে চলে গেলেন। গদ্দারি করলেন। পাঞ্জাবের মানুষ এরকম হয় না। বিট্টু হলেন ব্যতিক্রম।' কল্যাণের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের একজন প্রথমবারের সাংসদ যত বক্তৃতা দিয়েছেন বিট্টু তিনবারের সাংসদ হয়েও তত বক্তৃতা দিতে পারেননি। গোটা দেশ তৃণমূল কী বলছে সেটা শোনার অপেক্ষায় থাকে বলেই দাবি করেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। কল্যাণের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে সংসদে যখন সংবিধান সংশোধনের একটি বিল-এর তাঁরা বিরোধিতা করেছিলেন তখন বিট্টু এসে আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগকে ধাক্কা দেন। বিট্টু মহিলাদের সম্মান দেন না বলেই অভিযোগ কল্যাণের।
তাঁর কথায়, 'বিট্টূ বিজেপির পদলেহন করে মন্ত্রী হয়েছেন'। বিট্টু প্রসঙ্গে কল্যাণের অভিযোগ, সংসদে দাঁড়িয়ে যে মহিলাদের গায়ে হাত দিতে পারে সে ভারতবর্ষের একটা 'লজ্জা'। এই প্রসঙ্গে গোটা বিজেপি দলকেই আক্রমণ করে দলীয় নেতৃবৃন্দকে 'ভোট চোর' বলে আক্রমণ করেন কল্যাণ। উল্লেখ্য, শুক্রবার কলকাতা মেট্রোর তিনটি সম্প্রসারিত পথের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন বিট্টু। সেখানে তিনি নাম না করেও নিজের বক্তব্য রাখার সময় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। বিট্টুর কথায়, আগে ২৮ কিলোমিটার বিস্তৃত ছিল কলকাতা মেট্রো। প্রধানমন্ত্রী এখন ৩৯ কিলোমিটার সম্প্রসারণ করেছেন। ২০১৪ থেকে অনেক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এর সঙ্গে তৃণমূল সাংসদদের প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলে বিজেপির এই সাংসদ অভিযোগ করেন, তাঁরা সংসদে রাজ্যের প্রয়োজনে কোনো দাবি নিয়ে সরব থাকেন না অন্যদিকে দলীয় সাংসদকে এই আক্রমণের জন্য কল্যাণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, 'অন্যের সম্পর্কে বলার আগে কল্যাণ যেন নিজের দিকে দেখেন। তিনি নিজেই তো কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। সেইসঙ্গে ক'দিন আগে প্রকাশ্যে কল্যাণ তাঁর নিজের দলের এক মহিলা সাংসদের প্রতি কী ভাষা ব্যবহার করেছিলেন? সেটাও কিন্তু শোভনীয় নয়।'