আজকাল ওয়েবডেস্ক: খাস কলকাতায় ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শনিবার দুপুরে আনন্দপুরের একটি কারখানায় হঠাৎই আগুন লাগে। দাউদাউ করে কারখানার একাংশ জ্বলে ওঠে। জানা গিয়েছে, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় ঢুকতে পারছে না দমকল বাহিনীও। ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুরের গুলসান কলোনী এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই এলাকার একটি প্লাস্টিকের গুদামে আগুন লাগে। কী থেকে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যাচ্ছে না। তবে কারখানার ভিতরে প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাই। যাতে আগুনের লেলিহান শিখা আর ছড়িয়ে না পড়ে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কে ভুগছেন এলাকাবাসী। সূত্রের খবর, এখনও দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছননি।
কিছুদিন আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের গ্রিন বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ওই এলাকা। প্রায় আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলেন হাসপাতালের কর্মীরা। যদিও খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চলে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ধূমপানের পর কেউ কোনও জ্বলন্ত বিড়ি বা সিগারেটের টুকরো ফেলে দেওয়ায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আচমকাই গ্রিন বিল্ডিংয়ের 'বেসমেন্ট' থেকে গলগলিয়ে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছিল।
এই বিল্ডিংয়ের একেবারে কাছেই রয়েছে হাসপাতাল সুপারের অফিস। রয়েছে অ্যাডিশনাল সুপারের অফিস। বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন তলায় তখন রোগী, চিকিৎসক ও রোগীর পরিজনদের ভিড়। আচমকা ধোঁয়া দেখে সকলেই কিছুটা হকচকিয়ে যান। কটু গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে আশেপাশে সকলের চোখ জ্বলতে থাকে। দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন হাসপাতালের কর্মীরা। তাঁরা নিজেরাই হাত লাগান আগুন নেভানোর কাজে। শেষপর্যন্ত প্রায় আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। জানা গিয়েছে, বেসমেন্টের মধ্যে কিছু জিনিসপত্র ছিল। সেখানেই এই আগুন লাগে।
এবিষয়ে হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ কোনও রোগীর পরিজন বা অন্য কেউ জ্বলন্ত বিড়ি বা সিগারেটের টুকরোর শেষাংশ ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ায় জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে’। এই ঘটনার পর হাসপাতালের সব জায়গাতেই নজরদারি আরও জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে ওই আধিকারিকের সংযোজন, ‘হাসপাতালের মধ্যে বিড়ি বা সিগারেট খাওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এর পরেও যদি কেউ এটা মাথায় না রাখেন তাহলে কিছুই বলার নেই। নজরদারি থাকলেও নিজেদের সচেতনতা সবার আগে’। জানা যায়, গ্রিন বিল্ডিংয়ের ঠিক পেছনদিকে এই আগুন লেগেছিল। তবে দমকল বাহিনী তৎপরতা ও দু'টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।