তৃণমূলের মহিলা কর্মীর হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ! মালদহে বিজেপির ‘সন্ত্রাস’
প্রতিদিন | ২৪ আগস্ট ২০২৫
বাবুল হক, মালদহ: তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার আত্মীয়ের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে দু’জনকে। মহিলার বাম হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই হাত কেটে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মোথাবাড়ি থানার রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায়। বিজেপি এই কাজ করেছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেছে তৃণমূল। দলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে টুইটও করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার গভীর রাতের। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার আত্মীয় তৃণমূল কর্মী সুষমা মণ্ডল রায়ের বাড়িতে হামলা চালায় কয়েকজন। অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি নেতা শ্যামল কর্মকার দলবল নিয়ে পরিবারের উপর হামলা চালান। মহিলা তৃণমূল কর্মী সুষমা মণ্ডল রায়কে আক্রমণ করা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর বাম হাত কেটে নেওয়ার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বুকেও একাধিক কোপ মারা হয়েছে! স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্বামী বাপ রায়ও। জখম স্ত্রী ও স্বামীকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই দু’জনে চিকিৎসাধীন বলে খবর।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। রাতেই ওই এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে মোথাবাড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আক্রান্ত তৃণমূল সমর্থক বাপি রায়ের অভিযোগ, তাঁর বউদি মালা রায় রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। সেই সূত্রে তাঁদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় বিজেপি নেতা শ্যামল কর্মকার দলবল নিয়ে তাঁর পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লক তথা মোথাবাড়ি ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ফিরোজ শেখ বলেন, “রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কিছু বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ওই দুষ্কৃতীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে শ্যামল কর্মকার। এলাকায় খুনোখুনি, দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” বিজেপির দক্ষিণ মালদহের জেলা সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এটি গ্রাম্য বিবাদ। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। তৃণমূল ওখানে দুষ্কৃতী পুষছে। তৃণমূলের নিজেদের মধ্যেই এইসব সংঘর্ষ, গোলমাল হচ্ছে।” ঘটনায় এখনও অবধি চারজন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হয়েছে বলে খবর।