স্টাফ রিপোর্টার: দমদমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুক্রবারের সভাকে কেন্দ্র করে রাজ্য বিজেপির ঘরোয়া কলহ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এল। শুধু দিলীপ ঘোষই নন, শুক্রবার মোদির সভায় ডাক পাননি বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। আবার মঞ্চে দেখা যায়নি দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য তথা তারকা মিঠুন চক্রবর্তীকেও। অথচ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় মঞ্চের দায়িত্বে ছিলেন লকেট, আর মিঠুন ছিলেন অন্যতম বক্তা।
শুক্রবার উত্তর কলকাতা শহরতলি দমদমে প্রধানমন্ত্রী এলেন, মেট্রো রেলের উদ্বোধন, দলীয় জনসভাও করলেন। অথচ, দমদমের মতো জায়গায় মোদির সভায় রাজ্য বিজেপির তরফে ডাকা হল না লকেটকে। দিলীপের পাশাপাশি লকেটকে আমন্ত্রণ না করায় রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন নব্য শিবিরের উপর ক্ষুব্ধ দলের পুরনোরা। পাশাপাশি মিঠুনের অনুপস্থিতি নিয়েও চলছে জল্পনা।
ছাব্বিশের ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপির কোন্দল চরমে পৌঁছেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
শুক্রবার নিয়ে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপকে টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সভায় ডাকা হল না। দিলীপের সময় থেকেই বঙ্গ বিজেপির পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ লকেট। জানা গিয়েছে, তাঁকে এভাবে ব্রাত্য রাখায় চরম ক্ষুব্ধ লকেট। দিল্লির নেতাদের কাছেও এ খবর পৌঁছে গিয়েছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে লকেটকে না দেখে তাঁকে ফোনও করেছিলেন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।সূত্রের খবর, তাঁকে ডাকাই হয়নি বলে শমীককে জানিয়ে দেন লকেট। অর্থাৎ, শমীক জানতেনই না লকেটকে ডাকা হয়নি সভায়। তাহলে রাজ্য সভাপতিকে না জানিয়ে কারা এই কাজ করলেন? লকেটের পাশাপাশি মোদির মঞ্চে দেখা যায়নি দলের আরও দুই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ও বিধায়ক দীপক বর্মনকেও।
মিঠুনের অনুপস্থিতি নিয়েও চর্চা চলছে। ‘মহাগুরু’কে সরকারি ভাবে দলের তরফে আমন্ত্রণ করা হয়নি বলেই তিনি আসেননি বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও রাজ্য বিজেপির একাংশের দাবি, মিঠুন ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকাতেই আসতে পারেননি।
উল্লেখ্য, রাজ্য বিজেপির ডাকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হলে মঞ্চে রাজ্য সভাপতির সঙ্গে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকরাই মূলত থাকেন। এছাড়া, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও জেলা সভাপতি থাকেন। বঙ্গ বিজেপিতে দলের আদি শিবিরের নেত্রী বলেই পরিচিত লকেট। সম্প্রতি খড়গপুরে দলীয় বৈঠকে তিনি মঞ্চে দিলীপকে ডেকে নিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, বিজেপির পুরনো মুখ লকেটকে কি দলে ব্রাত্য করার চেষ্টায় সক্রিয় নব্য ও তৎকাল বিজেপি শিবিরের নেতারা যাঁরা দিলীপকে ব্রাত্য করে রেখেছেন। দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় মঞ্চে মূল দায়িত্বে ছিলেন লকেট। তবে হঠাৎ কেন দমদমের সভায় বাদ? সেই প্রশ্ন এড়ানো যাচ্ছে না কিছুতেই।