• ভ্যান আটকানোয় ট্র্যাফিক পুলিশকে মারধর, গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা
    এই সময় | ২৪ আগস্ট ২০২৫
  • পুলিশকর্মীকে মারধর করে গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা। শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার নিউ ফরাক্কা বাসস্ট্যান্ড মোড়ের ঘটনা। ওই জায়গাটি ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। সেখানেই ট্র্যাফিক পুলিশের এক এএসআইকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত পুলিশকর্মীর নাম তাপস ঘোষ। তিনি ফরাক্কা ট্র্যাফিক পুলিশে কর্মরত। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেওয়া-১ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান তারিকুল শেখকে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, যন্ত্রচালিত বেআইনি একটি পাট বোঝাই ভ্যান নিউ ফরাক্কা বাসস্ট্যান্ড মোড় হয়ে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে মালদা যাচ্ছিল। তখন ওই এএসআই ভ্যানটিকে আটকান। আক্রান্ত পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, জাতীয় সড়ক দিয়ে এমন ভ্যানের যাতায়াত নিষিদ্ধ। চালককে সেই কথা জানানো হয়। জাতীয় সড়ক দিয়ে এমন ভ্যান না নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে একটি মুচলেকা দেওয়ার কথাও জানান পুলিশকর্মী। চালক মুচলেকাতে সই না–করে ফোন করে মালিককে ডাকেন।

    ওই পুলিশকর্মীর অভিযোগ, ‘নিজেকে ভ্যানের মালিক পরিচয় দিয়ে তারিকুল হম্বিতম্বি শুরু করেন। জোর করে আমার কাছ থেকে চাবি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। চাবি দিতে অস্বীকার করলে আমার কলার ধরে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। তাঁর নখের আঁচড়ে আমার গলার কাছে কেটে গিয়েছে।’ আক্রান্ত পুলিশকর্মী থানায় জানালে পুলিশ এসে শাসকনেতা তারিকুলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

    পাল্টা তৃণমূল উপপ্রধান তারিকুলের দাবি, ‘আমি পুলিশের কলার ধরিনি। মারধরও করিনি। তাঁকে পাট বোঝাই গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছি মাত্র। এর পরে চাবি নিতে গেলে পুলিশকর্মী হাতাহাতি শুরু করে দেন। অকারণে আমাকে গ্রেপ্তার করেছে।’ স্থানীয় বাসিন্দা মণিরুল শেখের কথায়, ‘উপপ্রধান হয়ে কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে যদি এই আচরণ করেন, তা হলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি কেমন ব্যবহার করেন, তা বোঝাই যাচ্ছে।’ ফরাক্কার এসডিপিও সামসুদ্দিন শেখ বলেন, ‘কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর কাজে বাধা দেওয়া, তাঁকে মারধরের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)