সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: কলকাতায় তিন মেট্রো পথের উদ্বোধন নিয়ে বিজেপির কৃতিত্বের দাবিতে পাল্টা তোপ দাগল দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূল কংগ্রেস। তিন মেট্রো পথের উদ্বোধন নিয়ে বিজেপি এক তারফা কৃতিত্ব দাবি করায় তৃণমূলের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন শিলিগুড়ি শহরে রেলবাস চালু করেছিলেন। তা বন্ধ করে দেওয়া হল কেন?
শিলিগুড়ি শহরের যানজট সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও উন্নত, দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য এই রেলবাস কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারত। সে কথা মাথায় রেখেই রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়ি জংশন থেকে বাগডোগরার মধ্যে রেলবাস চালু করেছিলেন বলে দাবি তৃলমূল নেতৃত্বের। বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর সেই রেলবাস বন্ধ করে লাইন উপড়ে ফেলা হয়েছে। শিলিগুড়ি জংশনের শেডে জঙ্গলে ঠাঁই হয়েছে রেলবাসের।
দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, শিলিগুড়ি শহরে মেট্রো ও সার্কুলার রেলওয়ে চালু করা সম্ভব নয়। একথা বুঝেই তার বিকল্প হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী রেলবাস চালু করেছিলেন। দামি যন্ত্রাংশ এনে নতুন লাইন বসিয়ে এক কামরার এই রেলবাস চালু করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতার তিন মেট্রো পথের উদ্বোধন করে যে কৃতিত্ব দাবি করছেন সেটাও মুখ্যমন্ত্রীর রেলমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন করে আসা প্রকল্প। আমাদের প্রশ্ন মেট্রো রেল নিয়ে যদি তিনি কৃতিত্বের দাবি করেন, তাহলে শিলিগুড়ি শহরে আবার রেলবাস চালু করতে হবে। পরীক্ষামূলক ভাবে রেলবাসের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত করতে হবে। আমবাড়ি থেকে শিলিগুড়ি হয়ে নকশালবাড়ি পর্যন্ত এই রেলবাস চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ এই বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ নিত্যদিন শিলিগুড়ি শহরে রুজি-রোজগারের জন্য যাতায়াত করেন। রেলবাস চালু করলে বহু মানুষ শিলিগুড়িতে আসার ক্ষেত্রে উপকৃত হবেন। শিলিগুড়ি শহর যানজট সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, এবিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তোলার জন্য আমরা রাজ্য সরকারের মাধ্যমে আবেদন পাঠানোর উদ্যোগ নেব। এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা আমাদের রেলবাস ফের চালু করার প্রস্তাব পাঠাব। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, রেলবাসের পাশাপাশি এখানে সেভক – রংপো রেলপথের অনুমোদনও মুখ্যমন্ত্রী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন করেছেন। শিলান্যাসও তিনি করিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘদিন এই প্রকল্প ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই এখনও সেভক- রংপো রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি।