• খোয়াই হাটে যুবতীর দেহ উদ্ধারের দু’সপ্তাহ পার, এখনও জানা গেল না আসল পরিচয়
    বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াই হাট সংলগ্ন জঙ্গলে যুবতীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের পর পেরিয়ে গিয়েছে দু’সপ্তাহ। ঘটনার কিনারা তো দূরের কথা, মৃতার পরিচয় জানতে পারেনি পুলিস। এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। স্বভাবতই শান্তিনিকেতন থানার তদন্ত প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে। ঘটনার পর খোয়াই পাড়ের হাট ক্রমে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। তবে, মৃতদেহ উদ্ধারের জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। পুলিসের দাবি, মৃতার পরিচয় জানতে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মৃতার পোশাকটি অনলাইনে বহুজাতিক সংস্থা থেকে কেনা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার রাতে ওই এলাকায় কারা ছিল সেব্যাপারে জানতে ‘টাওয়ার ডাম্প’ করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের মোবাইল নম্বর চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান সহ বীরভূমের প্রতিবেশী জেলার প্রতিটি থানায় নিখোঁজ মহিলাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাট অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। শীতকাল বা গ্রীষ্ম, সারা বছরই হাটে পর্যটক সমাগম হয়। গত ৭আগস্ট সকালে খোয়াই হাট লাগোয়া জঙ্গলের একটি ছোট গাছের গোড়ায় বছর ২৫-এর ওই যুবতীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিনিকেতন থানার পুলিস। মৃতার চোখ-মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। গলায় শক্ত করে ওড়না পেঁচানো ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, অন্যত্র খুন করে রাতের অন্ধকারে গাড়িতে এনে দেহ ফেলে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল থেকে গাড়ির চাকার দাগও মেলে। এরপরই স্বতঃপ্রণোদিত ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিস। মৃতার পরিচয় জানতে স্থানীয় হোটেল, লজের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সেইসঙ্গে অতিথিদের পরিচয়পত্রও যাচাই করা হয়। কিন্তু ১৬দিন পরও কিনারা করতে পারল না পুলিস। মৃতার পরিচয় জানতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ভিনরাজ্যের থানাগুলিতেও তথ্য পাঠানো হয়েছে। এমনকী, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রায় প্রতিটি থানায় উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট থানার নিখোঁজদের বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছে শান্তিনিকেতন থানার তদন্তকারীরা। মৃতদেহ উদ্ধারের পরই ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে। তবে ময়নাতদন্তে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে খুনের মোটিভ নিয়ে ধোঁয়াশা আরও ঘণীভূত হয়েছে। তদন্তে স্থানীয় সিসি ক্যামেরায় দু’জনের সন্দেহজনক গতিবিধি ধরা পড়লেও আদতে তারা কারা তার হদিশও পাওয়া যায়নি। হাটের ব্যবসায়ীদের দাবি, বড় পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠলেও কোনও নজরদারি নেই। হাটে সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলে তদন্তে সুবিধা হতো। সোনাঝুরি হাট কমিটির সম্পাদক তন্ময় মিত্র বলেন, মৃতদেহ উদ্ধারের পর বেশ কিছুদিন উদ্বেগ থাকলেও এখন হাট ছন্দে ফিরেছে। ওই জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। হাটে হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করেন। নজরদারির প্রয়োজন। প্রশাসনের দ্রুত সিসি ক্যামেরা লাগানো উচিত। জেলার পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, ঘটনার রাতে ওই এলাকায় আসা দুষ্কৃতীদের গতিবিধি 

    জানতে টাওয়ার ডাম্প করে দেখা হচ্ছে। সেই তথ্য হাতে এলেই দ্রুত কিনারা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)