• আগামী সপ্তাহেই ‘শ্রমশ্রী’ পোর্টাল চালুর তোড়জোড়
    বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একের পর এক ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। রাজ্যে ফিরে এসে যাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান, তাঁদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ মোবাইল অ্যাপ ও একটি পোর্টাল তৈরি করছে শ্রমদপ্তর। এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী সপ্তহেই ‘শ্রমশ্রী’ অ্যাপ ও পোর্টাল চালু হয়ে যাবে। 

    বর্তমানে রাজ্যজুড়ে চলছে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবির। সেখানেই বসছে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পও। আগে থেকেই ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে পরিযায়ী শ্রমিকরা নাম নথিভুক্ত করাতে পারেন। ফলে যাঁরা রাজ্যে ফিরে এসে এই শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন, পোর্টাল চালু হলেই সেখানে তাঁদের নাম তুলে দেবে রাজ্য। তাঁরাও যথারীতি ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। শনিবার এই প্রকল্প নিয়ে নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকরা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন বলে খবর।     

    রাজ্যে ফিরে আসার পর এক বছর এই প্রকল্পের অধীনে মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের ফিরে আসার সময় এককালীন আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৫,০০০ টাকা দেবে রাজ্য। এছাড়া ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের ব্যবস্থা করা হবে। কেন্দ্র ‘১০০ দিনের কাজ’ বন্ধ করায় ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য। এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৭১ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারকে কাজ দেওয়া হয়েছে। ৯১ কোটি শ্রম দিবস তৈরি হয়েছে রাজ্যে। রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ হয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকা। আর্থিক সুবিধা ছাড়াও তাঁদের ‘খাদ্যসাথী’ এবং ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড করিয়ে দেবে রাজ্য। বাংলায় ফিরে এসে কোনও শ্রমিক ঋণ নিয়ে নিজে কোনও কাজ বা ব্যবসা শুরু করতে চাইলে তাঁদের মাইনরিটি ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন, এসসি-এসটি-ওবিসি ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এবং উদীয়মান স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্পের মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণ পেতে রাজ্যই সাহায্য করবে বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর (১৮০০১০৩০০০৯) চালু করেছে নবান্ন। সেখানে ইতিমধ্যে বহু পরিযায়ী শ্রমিক ফোন করে ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাইছেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)