লক্ষ্য ছাব্বিশের নির্বাচন, বীরভূমে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে পদযাত্রার ভাবনা প্রণবপুত্রের
প্রতিদিন | ২৪ আগস্ট ২০২৫
দেব গোস্বামী, সিউড়ি: ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় নিজেদের মাটি শক্ত করতে তৎপর কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে জেলা জুড়ে পদযাত্রা করার ভাবনা বীরভূম কংগ্রেসের নব নির্বাচিত জেলা সভাপতি অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের। তিনি জানান, “কালীপুজোর পর পদযাত্রা শুরু হবে। ইতিমধ্যে তিনি দলের সর্বোচ্চ নেতার কাছে জেলার পদযাত্রায় আসার জন্য আবেদন করেছেন।”
বীরভূমের কংগ্রেস জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর শনিবার প্রথম জেলায় যান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। সিউড়ির শিক্ষক ভবনে দলের ও সেবাদলের পক্ষ থেকে তাঁকে স্বাগত জানান হয়। সেখানেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কংগ্রেস কর্মীরা উপস্থিত হয়ে দলের নানা সমস্যার কথা জানান। যদিও দলের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি মিলটন রশিদ বা তাঁর অনুগামীদের কাউকেই এদিনের বৈঠকে দেখা যায়নি। তবে বৈঠকের শুরুতেই অভিজিৎবাবু ঘোষণা করেন, “গত লোকসভা নির্বাচনে যাঁদের দল বিরোধী বলে মিলটন রশিদ ঘোষণা করে বহিষ্কার করেছিলেন তাঁদের দলে সসম্মানে ফিরিয়ে নেওয়া হল।” উল্লেখ্য, মিলটন রশিদ বীরভূম কেন্দ্রের কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রাজনীতিতে পা রেখেই তিনি নলহাটি থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে বিধায়ক হন অভিজিৎ। এদিনের বৈঠকে কর্মীদের তিনি বলেন, “আমার ঠাকুরদা কামদা কিংকর মুখোপাধ্যায় বলতেন, রাজনীতিতে যত জনগণের কাছে যাবে ততই জনসমর্থন বাড়বে। সেই সূত্রেই পদযাত্রা শুরু করব। কালীপুজোর পরেই প্রতিটি ব্লকে দরকারে বুথে বুথে তিনি যেতে চাই কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে।”
এদিনের বৈঠকে রাজ্য সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় অধিকারী কংগ্রেস কর্মীদের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “বিজেপিকে রুখতে হবে। যদি ভুলক্রমে রাজ্যে বিজেপি চলে আসে তাহলে শুধু সাম্প্রদায়িক বিভেদ নয়, বাংলা ভাষাভাষিদের মধ্যে আক্রমণ শুরু হবে। কারণ কিছু নেতা পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।” এজন্য দলের জেলা বৈঠকে তিনি নির্দেশ দেন, প্রতিটি ব্লকে কমিটি গঠন করুন, প্রতিটি দলীয় বৈঠকে যেন সেবা দল থাকে। কমপক্ষে দু’জনকে হাজির থাকতেই হবে। তাঁরাই দলের পুলিশ, তাঁরাই মিলিটারি। প্রতিটি সভায় কংগ্রেস কর্মীদের দলের অনুগত হিসাবে গান্ধী টুপি পড়তে হবে। আমি নিজে পড়েছি। সকলে পড়ার অভ্যাস করুন। ভোটার তালিকা নিয়ে এলাকার মানুষের কাছে যান। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ব্লক সভাপতিরা তাঁদের বক্তব্য রাখেন। রথিন সেন জানান, “আমরা জন্মগতভাবে কংগ্রেস। সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে বড় হয়েছি। কিন্তু সেই পতাকা হাতে ধরে ভোট করতে লজ্জা লাগে। কিন্তু আমরা দলের সৈনিক। দল যা নির্দেশ দেবে আমরা তা পালন করব।” সঞ্জয় অধিকারী বলেন, “দলের মধ্যে থেকে দলের বিরোধিতা করবেন না। বিপদে আপদে কর্মীদের পাশে থাকুন।”