অচেনা ওয়েবসাইটে ফাঁস দেড় লক্ষ টেট পরীক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য, অথচ জানেই না পর্ষদ! বড়সড় জালিয়াতির আশঙ্কা
আনন্দবাজার | ২৪ আগস্ট ২০২৫
২০২২ সালের অন্তত দেড় লক্ষ টেট পরীক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে একটি অচেনা ওয়েবসাইটে। অন্তত তেমনই অভিযোগ। তা প্রকাশ্যে আসতেই পরীক্ষার্থীদের দাবি, নিশ্চয়ই বড়সড় জালিয়াতি হয়েছে। অথচ, বিষয়টি এখনও স্পষ্টই নয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে! পর্ষদ সূত্রের বক্তব্য, এখনও তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করা হবে।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, অন্তত দেড় লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর টেট পাশের শংসাপত্র একটি অচেনা ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে। সেখান থেকে অনায়াসেই ডাউনলোড করা যাচ্ছে পরীক্ষার্থীদের টেট পাশের নথি। অথচ ওয়েবসাইটটির কোনও সরকারি অনুমোদন নেই। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেটির সত্যতা আনন্দবাজার ডট কম যাচাই করেনি। ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, avinandaneservices.com নামে একটি ওয়েবসাইট থেকে চাকরিপ্রার্থীদের টেট পাশের শংসাপত্র পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে সঠিক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিলেই ডাউনলোড করা যাচ্ছে শংসাপত্র।
কিন্তু পর্ষদ এখনও বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানে না। পর্ষদের এক কর্তা আনন্দবাজার ডট কম-কে বলেন, ‘‘আমি কিছুই না। সকলে ফোন করছেন ঠিকই। কিন্তু কিছুই জানি না এ ব্যাপারে।’’ পর্ষদ কি কোনও পদক্ষেপ করবে? ওই কর্তার কথায়, ‘‘বিষয়টাই তো জানি না। কিছু করার আগে তো জানতে হবে। তবে সত্যিই যদি এ রকম হয়, আমরা থানায় এফআইআর করব। সাইবার ক্রাইমে বিষয়টি জানাব।’’
পরীক্ষার্থীরা জানান, ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণেরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে রেজাল্ট দেখতে পেয়েছিলেন। সেইমতো টেট সার্টিফিকেট ডাউনলোডও করতে পেরেছিলেন তাঁরা। কিন্তু কত জন পাশ করেছেন, সেই তালিকা তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে পাননি তখন। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, রবিবার তাঁরা সমাজমাধ্যমে এক ব্যক্তির প্রোফাইলে ২০২২ সালের টেট পাশ করা প্রার্থীদের নামের তালিকা দেখতে পান।
২০২২ সালের টেট পরীক্ষার্থী বিদেশ গাজি বলেন, ‘‘সরকারি তথ্য, যা অত্যন্ত সুরক্ষিত থাকার কথা, তা অন্যের হাতে গেল কী করে? এর পিছনে বড় ধরনের জালিয়াতি রয়েছে বলে আমরা মনে করি। পর্ষদের উচিত, কঠিন থেকে কঠিনতম পদক্ষেপ করা।’’