ভারী ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে দক্ষতা ও প্রযুক্তির মেলবন্ধন, শিবপুরে আন্তর্জাতিক সম্মেলন
বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে মাইনিং, মিনারেলস, অটোমোবাইলসের মতো ভারী ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে দক্ষতা ও প্রযুক্তির মেলবন্ধন। তাতেই বাড়বে বাংলাসহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে পড়তে আসা মেধাদের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ। এই লক্ষ্যেই প্রথমবার শিবপুরের আইআইইএসটিতে আয়োজিত হল তিনদিনের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। আগামী দিনে এই শিক্ষাঙ্গনে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস বিভাগে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী কর্তৃপক্ষ।
১৯৯৯ সাল থেকে শিবপুরের আইআইইএসটির স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসে চালু হয় চার সেমিস্টারের এমবিএ কোর্স। বর্তমানে এই বিভাগে প্রতি ব্যাচে ৩০ জন করে পড়ুয়া রয়েছেন। অধ্যাপক রয়েছেন ছ’জন। ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে খরচ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন বাড়ানো যায়, কীভাবে পড়ুয়াদের সামনে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো যায়—সেই বিষয়ে বুধ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিনদিনের একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। পড়ুয়াদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ইন্ডিয়ান ব্যুরো অফ মাইনস, কোল ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মাইনিং সংস্থার কর্ণধারেরা। পাশাপাশি ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, কার্টিন ইউনিভার্সিটি, ক্যুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের সিনিয়র প্রফেসরেরা অনলাইনে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন। উপস্থিত ছিলেন আইআইইএসটির ডিরেক্টর ভি এম এস আর মূর্তি, স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসের বিভাগীয় প্রধান নিতাইচন্দ্র দে প্রমুখ। অধ্যাপক নিতাইচন্দ্র দে বলেন, ‘এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স বাংলাসহ বিভিন্ন রাজ্যের পড়ুয়াদের কাছে ইন্টার্নশিপ বাদেও কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলে দেবে। ইতিমধ্যেই বহু সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করতে শুরু করেছে। আগামী দিনে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস বিভাগে আসন সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৫০টি করার জন্য কথাবার্তা চলছে। ল্যাব, ক্লাসরুমসহ যাবতীয় পরিকাঠামো বাড়ানো হবে।’
এই কনফারেন্সে টিবিএম মেশিন, এক্সকাভেটর, পে লোডারের মতো হেভি আর্থ মুভিং মেশিনারি পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি ও স্বয়ংক্রিয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে শ্রম কমবে, কমবে উৎপাদনের খরচও। পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতি না করে ভারী ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে কীভাবে দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব, তা এই ইনস্টিটিউটের পড়ুয়ারাই আগামী দিনে প্রমাণ করবেন বলে মনে করছেন বড় বড় মাইনিং সংস্থার কর্ণধারেরা।