নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্যাকেটজাত দুধের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ করতে চলেছে রাজ্য সরকারি ব্র্যান্ড ‘বাংলার ডেয়ারি’। বিশেষত কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে দুধের জোগান অনেকটা বাড়াতে পুজোর সময়কেই ‘পাখির চোখ’ করছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আওতাধীন সংস্থাটি। সেই সঙ্গে ঘি, দইয়ের মতো দুগ্ধজাত পণ্যের জোগানও বাড়াতে চলেছে তারা। মানুষের কাছে তাজা দুধ পৌঁছে দিতে বিপণন ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দপ্তরের কর্তারা।
কলকাতাও ও সংলগ্ন এলাকায় ‘বাংলার ডেয়ারি’র দুধের জোগান আসে হুগলির ডানকুনির কারখানা থেকে। এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার লিটার দুধ বিক্রি করে রাজ্য সরকারি সংস্থাটি। পাশাপাশি, হরিণঘাটায় আলাদা একটি কারখানা তৈরি হয়েছে, যেখান থেকে এক লক্ষ লিটার অতিরিক্ত দুধ আসবে বাজারে। কর্তারা বলছেন, পুজোর আগেই ওই কারখানা চালু হয়ে যাবে। ৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। কারখানায় সরাসরি কর্মসংস্থান হবে ১৭০ জনের। পাশাপাশি প্রায় ৮০০ জনের পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে চলেছে এই কারখানা। এর সঙ্গেই স্থানীয় পশুপালকরা অনেকটা উপকৃত হবেন। পরীক্ষামূলকভাবে ওই কারখানাটি ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তারা। ‘বাংলার ডেয়ারি’র চিফ জেনারেল ম্যানেজার গৌরীশঙ্কর কোনার বলেন, ‘তাজা দুধ গৃহস্থের কাছে পৌঁছে দিতে সবচেয়ে জরুরি কোল্ড চেন বা দুধের নিরবচ্ছিন্ন শীতলতা বজায় রাখা এবং সঠিক সময়ে তা বিক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়া। সেই কাজটি সুষ্ঠুভাবে করতে আমরা ডিস্ট্রিবিউশন বা সরবরাহ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেছি। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলির জন্য প্রায় ৭০জন ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগ করা হচ্ছে। তাঁরা সরাসরি ভেন্ডরদের কাছে দুধ পৌঁছে দেবেন। ঘি, পনির, রকমারি দই সহ ‘বাংলার ডেয়ারি’র অন্যান্য পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছবে তাঁদের হাত ধরেই।’