ফ্ল্যাট কেনাবেচা নিয়ে সমস্যার সমাধানে দেশে শীর্ষস্থানে বাংলা
আনন্দবাজার | ২৪ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিজের বাড়ির স্বপ্নপূরণ করতে সারা জীবনের সঞ্চয় ভেঙে ফ্ল্যাট কেনে মধ্যবিত্ত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ঠকতে হয় তাঁদের। টাকা দিয়েও মেলে না ফ্ল্যাট। মাসের পর মাস ঘোরাতে থাকে প্রোমোটার। এমন ঘটনা শুধু কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়। দেশজুড়ে বছরে ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়ে এনিয়ে। প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব পোর্টাল ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সেন্ট্রাল পোর্টাল গ্রিভান্স মনিটরিং সিস্টেম’ পোর্টালেও জমা পড়ে বহু অভিযোগ। এই ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে এবার দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে উঠে এল বাংলা। কেন্দ্রের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা দেশের মধ্যে সব থেকে কম সময়ে সমস্যা সমাধানে রেকর্ড করেছে পশ্চিমবঙ্গ। এমনকী, জুলাই পর্যন্ত যতগুলি অভিযোগ এসেছিল, তার একটিরও নিষ্পত্তি হওয়া বাকি নেই বলে জানা গিয়েছে।
গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে বহুতলের কমপ্লিশন সার্টিফিকেট (সিসি) পেতে গেলে ‘রেরা’ (রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি) রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করেছে নবান্ন। বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছেন মুখ্যসচিব। স্বভাবতই ‘রেরা’ রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ফ্ল্যাট কেনাবেচা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ এলে দ্রুত নিষ্পত্তি করাও সম্ভব হচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাজ্যের মানুষ যাতে ফ্ল্যাটের জন্য টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার না হন, সময় মতো ফ্ল্যাট না পেয়ে ক্রেতাদের যাতে হয়রানির শিকার না হতে হয়, তার জন্য আবাসন দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয় দপ্তর এবং পশ্চিমবঙ্গ রেরা’র তরফে। এমনকী, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ‘রেরা’ আইনের ৩৫ নম্বর ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে ক্রেতাকে ফ্ল্যাট বা নির্দিষ্ট হারে সুদ সমেত টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘এই ধরনের একাধিক পদক্ষেপের ফলেই বাংলায় ফ্ল্যাট কেনাবেচা সংক্রান্ত সমস্যা মেটানোর ক্ষেত্রে দেশে এক নম্বর স্থানে উঠে এসেছে।’