দেড় লক্ষ টেট পরীক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৫ আগস্ট ২০২৫
২০২২ সালের অন্তত দেড় লক্ষ টেট পরীক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য একটি অচেনা ওয়েবসাইটে ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগের সত্যতা এখনও প্রমাণিত হয়নি বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কর্তপক্ষ জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বড়সড় জালিয়াতির আশঙ্কা করছেন পরীক্ষার্থীরা।
জানা গিয়েছে, ওই অচেনা ওয়েবসাইটের কোনও সরকারি অনুমোদন নেই। এই রকম একটি ওয়েবসাইট রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিলেই পরীক্ষার্থীদের টেট পাশের শংসাপত্র অতি সহজেই ডাউনলোড করা যাচ্ছে। ওয়েবসাইটটির নাম avinandaneservices.com। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি ভিডিও (যার সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক স্টেটসম্যান) প্রকাশ্যে এসেছে। ওয়েবসাইটটি থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪০৬ জনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত পর্ষদ কিছু জানে না। সত্যিই এরকম কিছু ঘটে থাকলে থানায় এফআইআর করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল।
পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে রেজাল্ট দেখা গিয়েছিল। সেখান থেকে টেট সার্টিফিকেট ডাউনলোডও করতে পেরেছিলেন পরীক্ষার্থীরা। যদিও কত জন পাশ করেছেন তার কোনও তালিকা ওয়েবসাইটে তখন দেওয়া হয়নি। রবিবার চাকরিপ্রার্থীরা দেখতে পান, সমাজমাধ্যমে একটি ব্যক্তির প্রোফাইলে ২০২২ সালের টেট পাশ করা প্রার্থীদের নামের তালিকা দেখতে পান। এই রকম সরকারি তথ্য এভাবে অন্য কারও হাতে কীভাবে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এর পিছনে বড় কোনও জালিয়াতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন টেট পরীক্ষার্থী বিদেশ গাজি। পর্ষদের কাছ থেকে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি। আর এক পরীক্ষার্থী জানিয়েছেন, পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ১০২ জন চাকরিপ্রার্থী। তার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪০৬ জনের তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে।
কয়েকদিন আগেই চাকরির দাবিতে পর্ষদ অভিযান করেছিলেন টেট উত্তীর্ণরা। তাঁদের মধ্যে নিয়োগ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এই আবহে তথ্য ফাঁসের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।