ডিভোর্সের পর নতুন সম্পর্ক, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গর্ভপাতের সিদ্ধান্তই কাল! প্রাণ গেল তরুণীর
প্রতিদিন | ২৫ আগস্ট ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাকপুর: গর্ভপাতের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে যুবতীর মৃত্যুর অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল শ্যামনগরে। পুলিশের জালে ভুয়ো চিকিৎসক।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম নিবেদিতা বৈদ্য। নদিয়ার বাসিন্দা তিনি। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ বাড়ে। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তরুণী। লোক জানাজানির ভয়ে গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন যুগল। এরপরই ভাটপাড়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসক শিবেন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গোটা বিষয়টা শুনে চিকিৎসক জানান, কোনও সমস্যা নেই। তিনি গর্ভপাত করে দেবেন। সেই মতো ঠিক করা হয় দিনক্ষণ।
শনিবার দুপুরে গর্ভপাতের প্রক্রিয়া শুরু করেন চিকিৎসক। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছন্দপতন ঘটে। জানা যায়, শুরু হয় অতিরিক্ত রক্তপাত। প্রবল রক্তপাতের জেরে এক পর্যায়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন তরুণী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে ভাটপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ঘটনার পরই জগদ্দল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কয়েকঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে চিকিৎসক শিবেন সরকারকে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে শ্যামনগর ঘোষপাড়া রোড সংলগ্ন সিদ্ধেশ্বরী মন্দির লাগোয়া একটি বিল্ডিংয়ে শিবেন সরকারের চেম্বার ছিল। সেই বিল্ডিং ভেঙে নির্মাণের কাজ শুরু হলে সম্প্রতি তিনি অমরনাথ লেনে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ক্লিনিক শুরু করেন। মেডিক্যাল টার্মিনেশন প্রেগনেন্সি এ্যাক্ট অনুযায়ী গর্ভপাত ক্লিনিক করতে আলাদা লাইসেন্স নিতে হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসক নিজে ভুয়ো হওয়ায় ক্লিনিকেরও লাইসেন্স ছিল না বলেই অনুমান।