• আলিপুরদুয়ারে প্রকাশ্যে কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল! ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ মহিলা কর্মীদের
    প্রতিদিন | ২৫ আগস্ট ২০২৫
  • রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: নতুন জেলা সভাপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘাতে ধুন্ধুমার আলিপুরদুয়ারে। রবিবার কর্মিসভা চলাকালীন ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলা কর্মীরা। শুধু তাই নয়, ছাত্র পরিষদের সভাপতি অনুপম সাহাকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। যা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার পিছনে বিজেপি দায়ী বলে দাবি নেতৃত্বের। এমনকী জেলায় কংগ্রেসকে দুর্বল করতেই এহেন ঘটনা বলেও দাবি নয়া জেলা সভাপতি মৃণ্ময় সরকারের। 

    বিধানসভা নির্বাচনের আগে ময়দানে প্রদেশ কংগ্রেস। একাধিক জেলায় নতুন সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলা কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছে মৃণ্ময় সরকারকে। আজ, রবিবার কলেজ হল্ট মোড়ে জেলা কার্যালয়ে নয়া সভাপতিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সংবর্ধনা শেষে কর্মিসভা করার কথা ছিল নয়া সভাপতির। আর সেই সভা শুরু হতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। একেবারে ঝাঁটা হাতে একদল মহিলা কংগ্রেস কর্মী বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, কাউকে কিছু না জানিয়ে এই সভা করছেন নতুন সভাপতি।

    এখানেই শেষ নয়, জেলা কার্যালয়ে যখন এই বিক্ষোভ চলছে, সেই সময় কার্যালয়ের বাইরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ছাত্র পরিষদের সভাপতি অনুপম সাহাকে বাঁশ হাতে বেধড়ক মারধর করা হয়। কোনও রকমে স্থানীয় একটি দোকানে লুকনোর চেষ্টা করলেও, সেখান থেকে বের করে চলে মার। কোনও রকমে জেলা কার্যালয়ে ঢুকে নিজেকে বাঁচান অনুপম। যা নিয়ে একেবারে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, কংগ্রেসের বিদায়ী সভাপতি শান্তনু দেবনাথের গোষ্ঠী এই বিক্ষোভের ঘটনায় জড়িত। ঘটনায় প্রকাশ্যে জেলা কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল।

    পরে মৃণ্ময় সরকার জানান,”কংগ্রেস একটা বড় দল। খুব অল্প সময়ে এই অনুষ্ঠান করা হয়েছে। সবাইকেই বার্তা পাঠানো হয়েছিল। আলাদা আলাদাভাবে ফোন, হোয়াটস অ্যাপ করা হয়েছে। হয়তো কেউ তা দেখেননি। স্বাভাবিকভাবেই কেউ একটু দুঃখ পেয়েছিল।” তবে সমস্ত অশান্তি মিটে গিয়েছে বলেই দাবি কংগ্রেস নেতার। অন্যদিকে, জেলা কার্যালয়ের বাইরে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ এনেছেন নয়া জেলা সভাপতি। তাঁর দাবি, ”ছাত্র পরিষদ সদস্য অনুপমকে মারধরে মান্নান নামে একটি ছেলে জড়িত। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই ঘটনা সে ঘটিয়েছে।” ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন মৃণ্ময় সরকার। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)