• মালদহে সাফল্য, কৃষক বন্ধু প্রকল্পে চাষিদের খাতায় ১৫১ কোটি ২৭ লক্ষ
    বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৫
  • উজির আলি, চাঁচল: কৃষক বন্ধু প্রকল্পে মালদহ জেলায় ব্যাপক সাফল্য খারিফ মরশুমে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে উপকৃত হয়েছেন জেলার লক্ষাধিক  চাষি। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, খারিফ মরসুমে মালদহের ৬ লক্ষ ২০ হাজার ৯৩০ জন চাষি এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। চাষিদের খাতায় জমা হয়েছে ১৫১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। প্রকল্পের টাকা পেয়ে ঋণের বোঝা থেকে মুক্ত হয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন জেলার বহু চাষি।

    মালদহের চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, কালিয়াচক ও গাজোল সহ বিভিন্ন ব্লকে সম্প্রতি আমন ধানের চাষ শেষ হয়েছে। অনেকেই সার ও অন্যান্য কৃষি খরচ জোগাড় করতে ধার করেছিলেন। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অর্থ পেয়ে তাঁরা এখন ঋণমুক্ত।

    চাঁচল ১ ব্লকের সন্তোষপুরের নাজমুল হক বলেন, কৃষক বন্ধুর টাকায় সারের দোকানের দেনা মিটিয়েছি। প্রতি বছর এই প্রকল্পের সাহায্যে অনেকটা আর্থিক সুরাহা হয়। মল্লিকপাড়ার বিউটি বেগম প্রথমবার এই প্রকল্প থেকে টাকা পেয়েছেন। তাঁর কথায়, আগে চাষাবাদ শুরু করতে সমস্যায় পড়তাম। ফসল বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত ধার শোধ করা যেত না। সেই চিন্তা দূর করেছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প।

    কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, এই প্রকল্পে বছরে একজন চাষিকে সর্বনিম্ন ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। খারিফ ও রবি দু’টি মরসুমে দুই কিস্তিতে এই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়। দপ্তর জানিয়েছে, এবারও জেলার সব প্রান্তে চাষিদের খাতায় খারিফ মরসুমের কিস্তির টাকা পৌঁছে গিয়েছে। বিশেষ করে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক এলাকায় সবচেয়ে বেশি চাষি এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। 

    ইতিমধ্যে জেলার সবক’টি পাড়ায় সমাধান শিবিরে ১ হাজার ৮৫৭ জন চাষি প্রকল্পে আবেদন করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৪০০ জনের নাম নথিভুক্ত হয়ে গিয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, বাকি আবেদনকারীদের নথি দ্রুত যাচাই করে নথিভুক্ত করা হবে।

    মালদহের উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) বিদ্যুৎ কুমার বর্মন বলেন, কৃষক বন্ধু প্রকল্পে জেলার চাষিদের খারিফ মরসুমের কিস্তির টাকা পাঠানো হয়ে গিয়েছে। যাঁরা পাননি, ব্লক কৃষি দপ্তরে যোগাযোগ করলে সমাধান করা হবে।

    মালদহ জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম বলেন, কৃষক বন্ধু প্রকল্প ছাড়াও রাজ্য সরকার বিভিন্নভাবে চাষিদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। শস্যবীমার আওতায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, চাষিদের হাতে সময়মতো নানা ফসলের বীজ পৌঁছে দেওয়া হয়।  ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)