কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বদল, কর্মিসভা ঘিরে ধুন্ধুমার
বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: দলের জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা হতেই আলিপুরদুয়ারে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। ১৩ আগস্ট এআইসিসি আলিপুরদুয়ারে দলের জেলা সভাপতি হিসেবে মৃন্ময় সরকারের নাম ঘোষণা করে। জেলা সভাপতি হিসেবে মৃন্ময়বাবুর নাম ঘোষণা হতেই দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি শান্তনু দেবনাথ ও তাঁর অনুগামীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। রবিবার দলের জেলা পার্টি অফিসে কর্মিসভায় সেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসে পড়ে।
জেলা সভাপতি হওয়ার পর মৃন্ময়বাবু এদিন শহরের কলেজ হল্টে জেলা পার্টি অফিসে প্রথম কর্মিসভার ডাক দেন। আর সেই সভায় দুই গোষ্ঠীর লোকজন প্রকাশ্যেই তীব্র বাক বিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এমনকী দুই গোষ্ঠীর লোকজন লাঠি-বাঁশ নিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে যায়। কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর এই ঝামেলার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ হল্ট চত্বর। ঝামেলা এড়াতে ও ভয়ে আশপাশের ব্যবসায়ীরা তড়িঘড়ি দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে দেন।
এই গণ্ডগোলের জন্য দুই গোষ্ঠীই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। প্রসঙ্গত, স্থানীয় কিছু ইস্যুতে ২২ আগস্ট থেকে শান্তনুবাবু তাঁর অনুগামীদের নিয়ে শহরের চৌপথিতে মঞ্চ বেঁধে অনশন শুরু করেছেন। এদিনও শান্তনুবাবুদের সেই অনশন কর্মসূচি ছিল। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতির অনুগামীদের অভিযোগ, তাঁদেরকে এদিনের কর্মিসভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
যদিও কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি শান্তনুবাবু বলেন, রবিবার দলের জেলা পার্টি অফিসে গণ্ডগোলের পিছনে আমার কোনও হাত নেই। শুনেছি, কর্মিসভায় দলের সাধারণ কংগ্রেস কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন অনশন মঞ্চে না গিয়ে কেন পার্টি অফিসে খাওয়াদাওয়া চলছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের নয়া জেলা সভাপতি মৃন্ময়বাবু বলেন, দলকে না জানিয়ে ওই অনশন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আসলে এদিনের সভাকে ভেস্তে দিতেই দলের কতিপয় লোক গণ্ডগোল পাকিয়েছিল। তবে তাঁরা সফল হননি। কর্মিসভা সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।