• মৃত ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ল্যাপটপ, মোবাইল খতিয়ে দেখছে পুলিস
    বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অন্বেষা ঘোষের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ খতিয়ে দেখছে পুলিস। মারা যাওয়ার দিন তাঁর মোবাইলে কার কার ফোন এসেছিল, সর্বশেষ তিনি কার সঙ্গে কথা বলেছেন ইত্যাদি দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর ল্যাপটপ থেকে কোনও তথ্য পাওয়া যায় কি না সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। 

    রবিবার অন্বেষার বাবা সহ পরিবারের সদস্যরা কোচবিহার থেকে দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। মৃতার বাবা এদিনও দাবি করেন, কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র নাম ভাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেতেন। যার নাম ভাঁড়িয়ে কথা বলতেন তিনি অন্বেষার বন্ধু ছিলেন। মেয়ের মৃত্যুর পর কোচবিহারে এসে এখানে কথাবার্তা বলার পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়। শনিবারই পুলিসের কাছে কোচবিহার গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার বাবা। 

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মহিলা হস্টেলের তিনতলার একটি ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় অন্বেষাকে উদ্ধার করেন সহপাঠীরা। তাঁরাই স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে প্রথমে নিয়ে যান। কলেজ কর্তৃপক্ষও পৌঁছয়। পরে এমজেএন মেডিক্যালে আনা হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর যায় মৃতার বাড়ি। দুর্গাপুর থেকে শুক্রবার গভীর রাতে কোচবিহার এসে পৌঁছয় মৃতার পরিবার। শনিবার তাঁরা কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় ওই প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা বলেন, ঘটনায় তদন্ত চলছে। মৃত ছাত্রীর মোবাইল ও ল্যাপটপ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    ছাত্রীর বাবা তাপসকুমার ঘোষ বলেন, পুলিস নিশ্চই ঘটনার সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখবে। মেয়ের মৃত্যুর জন্য প্রকৃত দায়ীকে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।  ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের লেডিজ হস্টেল। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)