• ফের জলপাইগুড়ি শহরে ডেঙ্গুর থাবা, জেলায় আক্রান্ত ৫০০ জন
    বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ফের জলপাইগুড়ি শহরে ডেঙ্গুর থাবা। এবার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেন এক মহিলা। জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা তিনি। বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা বাড়িতে একাই থাকেন। কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। টেস্ট করাতেই ডেঙ্গু ধরা পড়ে। আপাতত বাড়িতে রেখেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

    রবিবার ডেঙ্গু আক্রান্ত ওই মহিলার বাড়ি গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। ঠিকমতো তাঁর চিকিৎসা চলছে কি না সে ব্যাপারে তদারকি করেন। ভাইস চেয়ারম্যানের নির্দেশে এদিন জলপাইগুড়ি স্টেশন বাজার এলাকায় মশা নিধনে স্প্রে ও ফগিং করা হয়। জলপাইগুড়ি শহরে চলতি মরশুমে এনিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০০। এরমধ্যে নাগরাকাটায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওই ব্লকে সংখ্যাটা শতাধিক। স্বাস্থ্যদপ্তরের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন ডেঙ্গু রুখতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তা সত্ত্বেও বর্ষার মরশুমে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা।

    দলীয় কর্মসূচিতে শনিবার জলপাইগুড়িতে এসেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। জেলার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ চলছে। উদ্বেগের কিছু নেই।

    জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন লাগোয়া বসতিতে যে মহিলা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁর ঘরের পাশেই একটি ডোবা রয়েছে। চারপাশে জঙ্গল। কাছেই খাটাল। এদিন এলাকাটি দেখে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, শহরের ভিতরে কোনও খাটাল চলবে না। দ্রুত ওই খাটাল সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। পুরকর্মীদের বলেন কে বা কারা ওই খাটাল চালাচ্ছে, তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। স্টেশন বাজার চত্বরে থাকা ডোবার চারপাশের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ডোবাটি রেলের। দীর্ঘদিন সেটি সংস্কার না করার ফলে চারপাশের পরিবেশ খুবই খারাপ হয়ে উঠেছে। রেলের সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলা হবে। প্রয়োজনে আমরা ওই ডোবা সংস্কার করব।

    ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার না নিলেও জলপাইগুড়ি শহরে এনিয়ে ১৯ জন আক্রান্ত হলেন। এটাও চিন্তার বিষয়। পুর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু দমনের কাজ চলছে। ওই কাজে আরও জোর দেওয়া হবে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)