বিষ্ণুপদ রায়, হলদিবাড়ি: বেপরোয়া গতিতে বাইক ছুটিয়ে জয়ী সেতুতে স্টান্ট যুবকদের। আর সেই ভিডিও তুলে আপলোড করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কানের পাশ দিয়ে যখন তখন বিদ্যুতের গতিতে একাংশ যুবক বাইক ছোটানোয় আতঙ্কে এলাকার মানুষ সহ পথচারীরা। ওই যুবকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে। যদিও ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, এসব রুখতে এখন থেকে ওই পথে নিয়মিত টহল দেওয়া হবে।
কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে মেখলিগঞ্জ-হলদিবাড়ি ঝাঁ চকচকে রাজ্য সড়ক ও জয়ী সেতুর উপর দিয়ে বেপরোয়া গতিতে দিনে কিংবা রাতে ঝড়ের বেগে বাইক ছুটিয়ে যাচ্ছেন কিছু যুবক। তাঁরা মাঝ রাস্তায় বাইক স্টান্ট করছেন। মোবাইলে সেসব ক্যামেরাবন্দি করে আপলোড করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি রাজ্য সড়কে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। তারপরও হলদিবাড়ি থানার ট্রাফিক পুলিসের হুঁশ ফেরেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। যেকোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আলম রহমান বলেন, বাইক স্টান্ট করতে গেলে সুরক্ষার জন্য যে সকল সরঞ্জাম দরকার সেসব তারা পরেন না। এমনকী মাথা হেলমেটও থাকে না। প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা তো দূরঅস্ত। জনবহুল এলাকায় নিজের জীবনের ঝুঁকি যেমন আছে তেমনই পথচলিত মানুষও যেকোনও সময় এদের দাপটে দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারে। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিউ পাওয়ার জন্য এসব করা হচ্ছে। পুলিস প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত। কারণ এই সড়কে সবসময় গাড়ি চলে। বড় গাড়ির চালক ঘবড়ে গেলে যেকোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাইক স্টান্ট করা এক যুবক বলেন, ফাঁকা রাস্তাতেই করা হয় স্টান্ট। যদিও এ বিষয়ে কোচবিহার জেলা পুলিসের ট্রাফিক ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) অঙ্কুর সিংহ রায় বলেন, বিষয়টি হয়তো আমাদের নজর এড়িয়ে গিয়েছে। আমরা ওদিকে নজর রাখব। যারা বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওই রাস্তায় এখন থেকে নিয়মিত ট্রাফিক পুলিস টহল দেবে।