সংবাদদাতা, মানিকচক: প্লাবনের জেরে ভিটেমাটি হারিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে ভূতনির বাঁধে। এমন দুঃসময়ে রবিবার কেশরপুর কলোনি এলাকায় নিম্নমানের খিচুড়ি দেওয়ার অভিযোগ করে বিক্ষোভ দেখালেন দুর্গতরা।
ভূতনির কেশরপুর, কালুটোনটোলা, বসন্তটোলা সহ কয়েকটি গ্রাম এখনও জলমগ্ন। সেখানকার প্রায় পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা বাস করছেন ভূতনির রিং বাঁধে। সেখানে বাঁশের কাঠামো করে প্রশাসনের দেওয়া ত্রিপল টাঙিয়ে দিন কাটাচ্ছে পরিবারগুলি। শুকনো খাবার ও প্রশাসনের দেওয়া খিচুড়ি একমাত্র ভরসা দুর্গতদের। তবে, মাঝেমধ্যে সেই খিচুড়ির মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন দুর্গতরা। কিন্তু উপায় না থাকায় খেতে বাধ্য হতেন। নাহলে আবার পরিবার নিয়ে অনাহারে কাটাতে হবে। রবিবার ট্রাক্টরে করে কেশরপুরের বাঁধে থাকা দুর্গতদের জন্য খিঁচুড়ি নিয়ে আসা হয়। কিন্তু মান অত্যন্ত খারাপ বলে অভিযোগ করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। যানবাহন আটকে শুরু করেন বিক্ষোভ।
দুর্গত সন্তোষ মণ্ডলের কথায়, জলবন্দি অবস্থায় রয়েছি। এমন অসহায় অবস্থার মধ্যে প্রশাসন যে খিঁচুড়ি দিচ্ছে, তাতে শুধুও জল। গবাদি পশু খাবে না, মানুষ তো দূরের কথা। প্রশাসন ভালো খাবার না দিলে অনাহারেই কাটাব আমরা।
তবে, বিক্ষোভ দেখালেও এদিন নিম্নমানের খিঁচুড়ি নিতে বাধ্য হন দুর্গতরা। গৃহবধূ সরলা চৌধুরী বলেন, খিঁচুড়ির মান অত্যন্ত খারাপ হলেও খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। নাহলে বাচ্চা, বয়স্কদের পেটে সারাদিন কিছু দানাপানি পড়বে না।
উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অর্চনা মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে নয়, ব্লক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ভূতনির দুর্গতদের ত্রাণের খিঁচুড়ি দেওয়া হচ্ছে।
মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে, এমন কিছু ঘটলে খতিয়ে দেখা হবে। দুর্গতদের নিম্নমানের খিচুড়ি দেওয়ায় বিক্ষোভ।-নিজস্ব চিত্র