সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: রবিবার সকালে বিষ্ণুপুরের জিয়াবাঁদি গ্রামে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করিয়ে সৎকার করতে গেলে পুলিস শ্মশানে হানা দেয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম মানস দত্ত(২২)। পারিবারিক অশান্তির কারণে মানসবাবু আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্ত জানা গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জিয়াবাঁদি গ্রামের বাসিন্দা অসীম দত্তের একটি মুদিখানা রয়েছে। অসীমবাবু ছাড়াও তাঁর ছেলে মানস দোকানে বসতেন। অন্যান্য দিনের মতো শনিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে আসার পর দোকানের হিসেব নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। তারপর খাওয়া দাওয়া করে যে যার ঘরে শুতে চলে যান। সকালে অনেক বেলা হলেও ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির লোকজন মানসকে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। সন্দেহ হওয়ায় দরজা ভাঙা হয়। তখনই ঘরের সিলিং ফ্যানে মানসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই পুলিসকে খবর না দিয়ে পরিবারের লোকজন দেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যান। চিতাও সাজানো হয়। সেই মুহূর্তে খবর পেয়ে পুলিস শ্মশানে হানা দেয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
মৃতের বাবা বলেন, অন্যান্য দিনের মতো মানস দোকান বন্ধ করে বাড়ি আসে। দোকানের হিসেব নিয়ে আমার সঙ্গে কিছুটা তর্ক বিতর্ক হয়েছিল। কিন্তু, তাই বলে ও নিজেকে এভাবে শেষ করে দেবে তা বুঝতে পারিনি। ছেলের মৃত্যু নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ না থাকায় সৎকারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পরে পুলিস দেহ ময়নাতদন্ত করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। -নিজস্ব চিত্র