• মেমারিতে গৃহযুদ্ধ বিজেপির সভানেত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার
    বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: এবার গৃহযুদ্ধে তাতছে বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা। দলের সভানেত্রী সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মেমারিতে পোস্টার দিল বিক্ষুব্ধরা। দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক রয়েছে বলে পোস্টারে অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁরা তৃণমূলের দালাল বলেও তোপ দাগা হয়েছে। এছাড়া সভানেত্রীর পদত্যাগ চেয়েও একাংশ সরব হয়েছেন। যদিও এই নিয়ে বিজেপির সভানেত্রী স্মৃতিকণা বসু বলেন, রাতের অন্ধকারে কে পোস্টার দিয়েছে জানা নেই। বিরোধীরাই এই কাজ করবে। 

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির অন্দরমহলে পোস্টার রাজনীতি নতুন কিছু নয়। কয়েক দিন আগে বিক্ষুব্ধরা বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতির পদত্যাগ চেয়ে পোস্টার দিয়েছিলেন। তারপর এবার একই ধরনের পোস্টার পড়ল কাটোয়া জেলার নেতা এবং নেত্রীদের নামে। দলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ বহুদিন ধরেই চলছে। রাজ্য নেতৃত্ব বারবার হস্তক্ষেপ করেও সমস্যা মেটাতে পারেনি। দলের এক নেতা বলেন, কিছু নেতা নেত্রীর মানসিকতা ঠিক নেই। তাঁরা দলের কথা ভাবেন না। নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করেন। সম্প্রতি দুই সাংগঠনিক জেলাতেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর থেকেই নতুন করে পোস্টার রাজনীতি শুরু হয়েছে। কয়েকজন নেতা এই কাজ করে চলছে। 

    দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই সংগঠন নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। সফলভাবে তাঁরা কোনও কর্মসূচি করতে পারছে না। বহু বুথে তাঁরা এখনও সভাপতি ঠিক করতে পারেনি। বুথে কমিটি না থাকার কারণে তাঁরা কোনও কর্মসূচি সফল করতে পারছে না। দলের আর এক নেতা বলেন, জনসংযোগের অভাবের জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জেলার দায়িত্বে থাকা নেতানেত্রীদের অনেকেই কর্মীদের পাশে থাকেন না। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর তাঁদের দেখা যায়নি। সেই কারণে অনেকেই তাঁদের উপর ভরসা করতে পারছেন না। বহু নেতা এবং কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন। তাঁদের সক্রিয় না করা গেলে সংগঠন মজবুত হবে না। তবে পোস্টার রাজনীতি প্রভাব ফেলবে না। নির্দিষ্ট কয়েকজন এই কাজ করে।

    অদি নেতা হিসেবে পরিচিত কেশব কোনার বলেন, পোস্টারে যে দাবি করা হয়েছে তা অনায্য নয়। এখন পুরানো লোকজনদের গুরুত্ব ঩নেই। যাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, বিজেপির কোনও নেতা বা নেত্রীকে আমাদের দরকার নেই। ওদের সঙ্গে মানুষ নেই। ওরা আগে নিজেদের মধ্যে লড়াই বন্ধ করুক। তারপর আমাদের সঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করতে আসবে। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সদ্য প্রকাশ হওয়া জেলা কমিটিতে কয়েকজন নেতা ঠাঁই না পাওয়ায় তাঁরা ক্ষেভে ফুঁসছেন।  এই পোস্টার ঘিরে শোরগোল। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)