আগামিকাল বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা মুখ্যমন্ত্রীর, জোরদার প্রস্তুতি, শিল্পসেতুর শিলান্যাসের সম্ভাবনা
বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: আগামিকাল, মঙ্গলবার জেলায় প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। শিল্পসেতুর শিলান্যাসের দিকেও জেলার বাসিন্দারা মুখিয়ে রয়েছেন। দামোদরে নতুন এই সেতু তৈরির কথা মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন। অর্থ বরাদ্দও হয়ে গিয়েছে। শিল্পসেতু তৈরি হলে জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্রটাই বদলে যাবে। শুধু পূর্ব বর্ধমান নয়, বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর এবং হুগলির বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন। সেতুর নকশা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, সেতুর শিলান্যাসের বিষয়টি নবান্নে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। সম্মতি পাওয়া গেলেই প্রকল্পের শিলান্যাস হয়ে যাবে।
স্থানীয়রা বলেন, কৃষক সেতুর অবস্থা বেহাল হয়ে গিয়েছে। বর্ষায় এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করা দায় হয়ে ওঠে। ব্যাপক যানজট তৈরি হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েন। রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কথা দিলে তা রাখেন। শিল্পসেতু নামটিও তিনিই দিয়েছেন। শিলান্যাসের পরই কাজ শুরু হয়ে যাবে। দক্ষিণ দামোদরের বাসিন্দারা সব থেকে বেশি উপকৃত হবেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বর্ধমানে পৌঁছনো যাবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে সেতুটি তৈরি হবে। ২০২৪ সালে রাজ্য সরকার বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করে। শিল্পসেতু তৈরির পাশাপাশি ইডেন ক্যানেল সেতুও সংস্কার করা হবে। সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ৬৪০ মিটার। তিন লেনের সেতু তৈরি করা হবে। অত্যাধুনিকভাবে দামোদরের উপর সেতুটি তৈরি করা হবে। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভাগীরথীর উপরও সেতু তৈরির দাবি রয়েছে। কালনা এবং শান্তিপুরের মাঝে এই সেতু তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। দু’দিকেই অধিকাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়ে গিয়েছে। এই সেতুর কাজ শুরু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব আসবে বলে এলাকার বাসিন্দারা মনে করছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য দেবু টুডু বলেন, কালনার সেতু তৈরির কাজও সম্পূর্ণ হবে। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেন, সেটাই করেন। আশা করা যায়, এই সেতুর কাজও তাড়াতাড়ি শুরু হয়ে যাবে। সরকার রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তেই উন্নয়ন করছে। আর কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করছে। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা ওরা আটকে রেখেছে। ভোটে হেরে যাওয়ার পরই বাংলার মানুষের সঙ্গে ওরা বঞ্চনা করছে। বাংলা ওদের জবাব দেবে। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী জেলায় উন্নয়নের ডালি নিয়ে আসছেন। তিনি বহু প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করবেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ানও মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে তুলে ধরবেন। এছাড়া উপভোক্তাদের হাতে সামগ্রীও তুলে দেওয়া হবে। ফাইল চিত্র