সংবাদদাতা, কান্দি: সকাল সন্ধে একটানা তাঁতের খটখট শব্দ হয়েই চলেছে। দম ফেলার ফুরসত নেই খড়গ্রাম ব্লকের কয়েক হাজার তাঁতির। এবছর পুজোয় মুর্শিদাবাদ সিল্কের চাহিদা প্রচুর। স্বভাবতই শিল্পীদের কাজও বেড়েছে। তার সঙ্গে রোজগারও। দুর্গাপুজোর মুখে খুশির হাসি তাঁত শিল্পীদের।
সেই নবাবি আমল থেকেই খড়গ্রাম ব্লকের তাঁত শিল্পীদের সুনাম রয়েছে। এক সময়ে এখানকার প্রায় ৩০ হাজার পরিবারে তাঁত বোনা হতো বলে জানা গিয়েছে। তবে এখন গোটা ব্লকে তাঁত শিল্পীর সংখ্যা কয়েক হাজার। পদমকান্দি, কীর্তিপুর, মাড়গ্রাম, ইন্দ্রাণী, জয়পুর, এড়োয়ালি, পারুলিয়া পঞ্চায়েতের অধিকাংশ গ্রামেই বাসিন্দাদের একাংশের প্রধান জীবিকা তাঁত বোনা।
তবে বহুবছর পর এবারের পুজোর মুখে শিল্পীদের বেশ খুশি দেখাচ্ছে। এবছর কাজের বিরাম নেই। স্থানীয় নগরগ্রামের মোমিনপাড়ার তাঁত শিল্পী কবীর মোমিন বলেন, এবছর পুজোয় কাজের চাপ খুব। আরাম করার সময় নেই। রোজগারও ভালো হচ্ছে। এখন প্রতি কোড়া থানে ৬০০ টাকার মধ্যে ৫২৮ টাকা হাতে দেওয়া হচ্ছে। বাকিটা আমাদের বোনাস খাতে জমা হচ্ছে। পদমকান্দি গ্রামের কার্তিক মার্জিত বলেন, বহুবছর বাদে এবার পুজোর বাজার ভালো। সেই বৈশাখ মাস থেকে কাজের চাপ রয়েছে। তাই ছেলেপুলে নিয়ে এবার পুজোটা ভালোই কাটবে বলে মনে করছি। মাড়গ্রামের মানবকুমার মার্জিত বলেন, এ বছর পুজোটা বেশ আরামে কাটবে বলে মনে হচ্ছে। রোজগার বেড়েছে। তাই বাড়ির সকলকে নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই কেনাকাটা শুরু করে দেব ভাবছি।
এসবই সম্ভব হয়েছে মুর্শিদাবাদ সিল্কের চাহিদা বাড়ায়। খড়গ্রামের নগরগ্রামের সিল্ক মহাজন আফসার মোমিন বলেন, গতবছর থেকেই মুর্শিদাবাদ সিল্কের চাহিদা বেড়েছে। তবে এবছর মুম্বই, দিল্লি থেকেও সিল্ক কাপড়ের প্রচুর অর্ডার পেয়েছেন কলকাতার মহাজনরা। তাই স্থানীয় শিল্পীদেরও কাজের অভাব নেই। শিল্পীদের মজুরিও কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। খড়গ্রামের এক খাদি দোকানের কর্মী বদরে আলম মোমিন বলেন, শুধু কলকাতা বলে নয়, এবছর পুজোয় স্থানীয় বাজারেও মুর্শিদাবাদ সিল্কের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কাজেই