• রানিগঞ্জের নিখোঁজ বধূর দেহ উদ্ধার দামোদরের চরে, চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: রবিবার সকালে শালতোড়ায় দামোদর নদের চর থেকে রানিগঞ্জের বাসিন্দা এক বধূর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম সুনীতা মালাকার(৩২)। তাঁর বাড়ি রানিগঞ্জ থানার নিমচা ফাঁড়ির চাপুই গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানতে পেরেছে, ওই বধূ শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন, আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেইমতো মামলা দায়ের করা হবে।

    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর স্বামী পেশায় গাড়ি চালক। শনিবার সকাল থেকে স্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি রানিগঞ্জ থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। যদিও ওইদিন রাত পর্যন্ত পুলিস বধূর কোনও সন্ধান পায়নি। এদিন সকালে শালতোড়া থানার টিরাট এলাকায় দামোদর নদে দেহ ভাসতে দেখা যায়। চরের লতাপাতায় দেহ আটকে ছিল। খবর পেয়ে শালতোড়া থানার পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

    পড়শি জেলার ওই বধূর দেহ উদ্ধারের পর একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।  তবে এক পুলিস আধিকারিক বলেন, পারিবারিক অশান্তির জেরেই ওই বধূ বাড়ি ছেড়েছিলেন। তিনি পশ্চিম বর্ধমানের দিকে দামোদর নদের পাড়ে এসে বিষ পান করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যদিও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে। 

    স্থানীয়দের প্রশ্ন, বিষ পান করে আত্মঘাতী হলে নদীর পাড়েই দেহ পড়ে থাকত। দামোদরের জলে ভেসে কীভাবে বাঁকুড়ার দিকের তীরের কাছে চরে গিয়ে ঠেকল? এনিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, বিষের জ্বালায় ছটফট করতে করতে ওই বধূ জলে পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন। বর্তমানে ভরা দামোদর কানায় কানায় বইছে। মৃত্যুর পর জলের স্রোতে দেহ এক পাড় থেকে অন্য 

    পাড়ে ভেসে যাওয়ার মধ্যে 

    অস্বাভাবিক কিছু নেই।
  • Link to this news (বর্তমান)