পাটুলিতে কেটে ফেলা গাছের জন্য নীরবতা পালন পরিবেশ কর্মীদের, বসানো হবে ভেষজ বৃক্ষ, আশ্বাস কাউন্সিলারের
বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সুমন গান গেয়ে বলেছিলেন, ‘আমি চাই গাছ কাটা হলে শোকসভা হবে বিধানসভায়...।’ বিধানসভায় না হলেও বাস্তবে রবিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতায় কেটে ফেলা গাছের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন হল।
দক্ষিণ কলকাতার পাটুলির কে কে দাস কলেজের সামনে কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন পরিবেশ কর্মীরা। তারপর তাঁরা এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি পাটুলি থানা পর্যন্ত মিছিল করেন। রবিবার পরিবেশ কর্মীদের সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’ এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। প্ল্যাকার্ড হাতে কলেজের সামনে সংক্ষিপ্ত সভাও করে তারা। পরিবেশ কর্মীদের দাবি, ‘গাছকে অসুস্থ ঘোষণা করতে পারেন একজন গাছ বিশেষজ্ঞ। অন্য কোনও এজেন্সি নয়।’ সংগঠনের পক্ষ থেকে দেবাশিস রায় বলেন, ‘ওই এলাকায় প্রথমে চারটে, তারপর আটটি বড় গাছ কাটা হল। সেখানকার এক ব্যক্তি দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেন। গত সপ্তাহের সোমবার আমরা পাটুলি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কাউন্সিলারের কাছেও গিয়েছিলাম। উনি বললেন, ভুল করে কেটে ফেলেছে। আরও বললেন, গাছগুলোতে পোকা ধরেছে। পড়ুয়াদের মাথায় পড়লে কী হতো? আমরা বললাম, এগুলো তো বনদপ্তরের দেখার কথা।’ অন্যান্য পরিবেশ কর্মীদের বক্তব্য, ‘কাউন্সিলারও বলেছিলেন, গাছগুলোর জন্য উনি শোকপালন করবেন।’ দেবাশিসবাবু বলেন, ‘কয়েক দিন আগেও রাতের অন্ধকারে কেউ গাছ কাটতে এসেছিলেন বলে আমাদের কাছে খবর আসে। এক মহিলা প্রতিবাদ করায় তাঁরা না কেটে চলে গিয়েছিলেন। আজ আমরা ওই গাছগুলোর জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করলাম। পাটুলি থানার ওসি বললেন, কেস হয়েছে। কিন্তু আশপাশের কোনও লোক কিছু বলতে চাননি।’ পাটুলির এই এলাকা কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত।
এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত বলেন, ‘ওই চত্বরে ফুটপাতজুড়ে ১৭১টি গাছ রয়েছে। আদালতের নির্দেশ রয়েছে, গাছের চারপাশ কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো যাবে না। তাই পুরনো কংক্রিটের নির্মাণ আমরা ভাঙছি। সেগুলো ভাঙতে গিয়ে কিছু গাছ, যেগুলো বিপজ্জনকভাবে ছিল তেমনই তিন-চারটি গাছ ভেঙেছে। কিছু গাছ কাটতে হয়েছে। আমরা আবার ওখানে ভেষজ গাছ বসাব।’ নিজস্ব চিত্র