কোচবিহারে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে অমর রায় খুনে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে পাঁচ। পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ আলিপুরদুয়ারের তোপসিকাথা এলাকা থেকে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চার রাউন্ড কার্তুজ ও একটি বাইক। অস্ত্রগুলিকে পরীক্ষার জন্য ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অনুমান, এই অস্ত্রগুলি খুনের সময় দুষ্কৃতীরা ব্যবহার করেছিলেন। বাইকটিও সেই সময় তাঁদের সঙ্গে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা প্রত্যেকেই সুপারি কিলার। অনুমান, তাঁদের অমর রায়কে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল। ভাড়া করে তাঁদের নিয়ে এসে খুন করানো হয়েছিল। তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে। প্রথমে বিনয় রায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁকে জেরা করে অরুণাচল প্রদেশ থেকে কিশোর বর্মণ এবং নারায়ণ বর্মণ নামে দু’জনকে কোচবিহারে নিয়ে আসা হয়।কোচবিহারেই তাঁদের বাড়ি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর মরানদীর কুঠি এলাকা থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল এবং চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ডোডেয়ার হাট এলাকায়। বাজারের মধ্যেই স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল নেত্রী কুন্তলা রায়ের ছেলে অমর রায়কে গুলি করেন বেশ কিছু দুষ্কৃতী। পর পর গুলি করায় মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন অমর রায়।ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মাথায় এবং পিঠে গুলি লেগেছিল। কোচবিহার জেলা পুলিশ ঘটনার দিনই কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের বয়ানের সূত্র ধরেই আরও দু’জন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় বিরোধীরাও যুক্ত থাকতে পারেন আবার শাসকদলের কেউও যুক্ত থাকতে পারেন।