• শিলিগুড়িতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে জমজমাট ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশন, আয়োজনে এসআইটি...
    আজকাল | ২৫ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্তমান বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) ও ডেটা অ্যানালিটিক্সের (Data Analytics) গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। শিল্প, ব্যবসা, শিক্ষা কিংবা স্বাস্থ্য—প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডেটা নির্ভর সিদ্ধান্ত ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমাগত বিস্তৃত হচ্ছে। এই দক্ষতাগুলো আয়ত্ত করতে পারলে ভবিষ্যতের চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমস্যা সমাধান, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে শিলিগুড়ি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (SIT) আয়োজন করল এক প্রাণবন্ত ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশন। সেখানে আলোচনার মূল বিষয় ছিল ডেটা অ্যানালিটিক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর এই সেশনে মুখ্য অতিথি হিসেবে এসেছিলেন আমেরিকার ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ বিজনেসের (Wake Forest University School of Business) বিশ্বখ্যাত প্রফেসর শ্যানন ড্যানিয়েল ম্যাককিন।

    অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় ইনস্টিটিউটের স্যার জে সি বসু সেমিনার হলে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে উৎসাহে মুখর ছিলেন পড়ুয়া এবং শিক্ষকরা। প্রফেসর ম্যাককিন সেশনটিতে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করেন এআই ও ডেটা অ্যানালিটিক্সের মূল ধারণা, এগুলোর বাস্তব প্রয়োগ এবং কিভাবে এসব প্রযুক্তি আমাদের ব্যবসা, প্রযুক্তি ক্ষেত্র এমনকি দৈনন্দিন জীবনকে আমূল পরিবর্তন করছে। নানা উদাহরণ, বাস্তব কেস-স্টাডি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি সেশনটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীরা সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ পান এবং প্রফেসর রসিকতার ছলে গভীর বিশ্লেষণসহ উত্তর দেন। অংশগ্রহণকারীদের মতে, এই সেশন শুধু নতুন জ্ঞান অর্জনের সুযোগই দেয়নি, বরং প্রযুক্তি ও ভবিষ্যৎ ভাবনার নতুন দিকও খুলে দিয়েছে।

    শিলিগুড়ি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির কর্তৃপক্ষের কথায়, সুদীর্ঘ ২৬ বছর ধরে তাদের প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, নৈতিক মূল্যবোধ, গবেষণামূলক চিন্তাভাবনা ও সৃজনশীলতার সমন্বয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আধুনিক পরিকাঠামো ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা কেবল কর্মজীবনের জন্য নয়, বরং সমাজ ও দেশের অগ্রগতির জন্যও নিজেদের প্রস্তুত করে চলেছে। আন্তর্জাতিক মানের ব্যক্তিত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করা নিঃসন্দেহে এসআইটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য ও সাফল্য। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের এও আশ্বাস, এরকম উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চলবে, যাতে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পায়।

    উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই শিলিগুড়ি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (এসআইটি) বিবিএ বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এক অভিনব আন্তঃবিভাগীয় ব্যাবসায়িক প্রতিযোগিতা, যার নাম 'গ্রাউন্ড জিরো বিজনেস ব্যাটল কম্পিটিশন'। প্রফেশনাল স্টাডিজের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন ব্যবসা শুরুর মানসিকতাকে উজ্জীবিত করা এবং ভবিষ্যতের উদ্যোক্তা হিসেবে তাঁদের কঠিন বাস্তব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করা। এই প্রতিযোগিতায় বিসিএ, বিএইচএইচএ, বিবিএ, বিবিএ-এটিএ এবং বিএসসি সাইকোলজি-সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা নিয়ে মাঠে নামেন। মোট ছয়টি দল তাঁদের স্টার্টআপ প্রেজেন্টেশন ও ব্যাবসায়িক মডেলের মাধ্যমে বিচারকের মন জয় করার চেষ্টা করে। এই দলগুলি শুধুমাত্র তাদের মৌলিক ভাবনা তুলে ধরেনি, বরং সেগুলোকে কার্যকর করার জন্য চমকপ্রদ বিপণন কৌশল, পরিকল্পিত আর্থিক মডেল এবং গ্রাহকদের চাহিদা কেন্দ্রিক সমাধানও উপস্থাপন করে।
  • Link to this news (আজকাল)