রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও অভিরূপ দাস: শেষ জীবনযুদ্ধ। প্রয়াত তারকা রাজনীতিক জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Joy Banerjee)। গত ১৫ আগস্ট দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ১৭ আগস্ট থেকে ছিলেন ভেন্টিলেশনে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তারকা রাজনীতিক। এদিন বেলা সাড়ে এগারোটার পর ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল।
১৯৬৩ সালের ২৩ মে জন্ম হয় তাঁর। তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন স্বামী। বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয়বার বিয়েও করেন। বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রী অঙ্কিতা এবং মাকে নিয়েই থাকতেন জয়। অভিনয় জগতের মাধ্যমে পরিচিতি তাঁর। জয় ও চুমকি চৌধুরীর ‘হীরক জয়ন্তী’ মন জয় করেছিল দর্শকের। তারপর একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন জয়। ‘মিলন তিথি’, ‘জীবন মরণ’, ‘নাগমতি’, ‘চপার’ ছবি দর্শক মহলে প্রশংসিত।
এরপর রাজনীতির আঙিনায় পাড়ি জমান জয়। নাম লেখান গেরুয়া শিবিরে। ২০১৪ সালে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ভোটে লড়েন জয়। একবার উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্র থেকেও লোকসভা ভোটে লড়েন। সেবার অবশ্য জয়ী হতে পারেননি। ২০২১ সালে অবশ্য পাকাপাকিভাবে বিজেপি থেকে ‘সন্ন্যাস’ নেন জয়। তারপর থেকে প্রচারের অন্ধকারেই চলে গিয়েছিলেন একসময়ের তারকা রাজনীতিক।
গত ১৫ আগস্ট দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন জয়। নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন তিনি। সোমবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা গিয়েছে, বেলা আড়াইটে নাগাদ মরদেহ হাসপাতাল থেকে বেরবে। সেখান থেকে সোজা তারাতলায় তাঁর বাসভবনে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে। বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। এরপর অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হবে। জয়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।