অরূপ বসাক, মালবাজার: নাগরাকাটা জাতীয় সড়কের উপর ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে গেল বোলেরো গাড়ি। ঘটনায় মৃত তিন। আহত অন্তত ১২। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে যাত্রীদের। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের চিকিৎসা চলছে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালেও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। এলাকায় যান নাগরাকাটার বিডিও পঙ্কজ কোনার, আইসি কৌশিক কর্মকারও। স্থানীয়দের সঙ্গে তাঁরাও উদ্ধারকাজে হাত লাগান।
কীভাবে এই দুর্ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছিল অভিশপ্ত গাড়িটিতে। রাস্তাও ঢালু ছিল। আর সেই কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এই দুর্ঘটনা। যদিও পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, স্থানীয়দের অভিযোগও পুলিশের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, গাড়িটি মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটার খেরকাটা থেকে গাঠিয়া চা বাগানের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটিতে মূলত চা বাগানের শ্রমিকরাই ছিলেন। হঠাৎ করেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায়। মর্মান্তিক মৃত্যু হয় গাড়িটিতে থাকা তিন শ্রমিকের। আহত হন আরও ১৩ জন। পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা ছাড়াও ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে যান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর, পঞ্চায়েত সদস্য লতিফুল ইসলাম ও মজুরুল হক। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তাঁরাও।
অন্যদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে যান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. ইরফান মোল্লা হোসেন। জানা যায়, তিনি নিজেও আহতদের চিকিৎসার কাজে হাত লাগান। স্থানীয়দের আরও দাবি, জাতীয় সড়কে পর্যাপ্ত পুলিশের নজরদারির অভাব রয়েছে। আর সেই সুযোগে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে এভাবেই বিপজ্জনকভাবে গাড়িগুলি চলাফেরা করে। আর তারই পরিণতি এদিনের দুর্ঘটনা। অন্যদিকে পুলিশের তরফে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও।