স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় তাঁর আমন্ত্রণ ছিল না। কিন্তু মঞ্চে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিং, তাপস রায়দের মতো তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা নেতারা। যা নিয়ে প্রকাশ্যে তোপ দাগলেন রাজ্য বিজেপির প্রাত্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “এই সব দলবদলু নেতারা মঞ্চ আলো করে বসে থাকাতেই প্রধানমন্ত্রীর দমদমের জনসভা কার্যত ফাঁকা ছিল। সব মিলিয়ে হাজার পাঁচেক লোক এসেছিল। যা ভাবাই যায় না!”
প্রধানমন্ত্রীর সভায় আমন্ত্রণ না থাকায় শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে ধর্মগুরু রবিশংকরের আশ্রমে চলে যান দিলীপ। সেখান থেকে ফিরে রবিবার ফের স্বমহিমায় খুল্লামখুল্লা শব্দচয়নে নব্য বিজেপিকে বিঁধেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় লোক না হওয়া নিয়ে তীব্র ভাষায় তোপ দেগে দিলীপ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে কারা ছিলেন? ভালো করে দেখবেন, সবকটা দলবদলু। শুভেন্দু অধিকারী, তাপস রায়, অর্জুন সিং, সজল ঘোষ….. আর ক’টা নাম বলব! এঁরা বিজেপি? এঁদের দেখে মানুষ বিজেপি করতে আসবেন? এঁদের বিরুদ্ধেই তো বিজেপি লড়াই করেছিল। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা কার্যত ফাঁকা থেকেছে।”
দিলীপ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সভায় এত কম লোক! আমরা মিছিল-মিটিং করলেও তো এর থেকে বেশি লোক হয়। প্রধানমন্ত্রীর সভায় যে পাঁচ হাজার লোক হবে তা তো ভাবাই যায় না। দর্শকস্থলের ছবি দেখছিলাম। দেখলাম সবাই গল্প করছে। সেই জোশটাই নেই। এভাবে হয় নাকি?” সেক্ষেত্রে ২০২৬-এ দলের সাফল্যের সম্ভাবনা কতটা? দিলীপের জবাব, “খুব খারাপ, খুব খারাপ। লড়াইটা হতে চলেছে ২০২১-এর আসন ধরে রাখার লড়াই। সেটাও এখন দূর অস্ত মনে হচ্ছে।” বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় ফিরে এদিন চনমনে দেখিয়েছে দিলীপকে। তিনি জানান, “রবিশংকরজি আমাকে বলেছেন, ছোড়না নহি, লড়তে রহো।” তিনি বলছেন, “অপেক্ষায় আছি। পার্টি যা যা কাজ দেবে, সেই কাজ করব। রোজই বিভিন্ন ধরনের জনসংযোগ কর্মসূচি থাকছে। তাই ব্যস্ত থাকছি।