• সাইবার জালিয়াতিতে টাকা খোয়ানোর ঘটনা কমছে কলকাতায়, দাবি সিপি’র, টানা সচেতনতা প্রচারের সুফল?
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৫
  • সুজিত ভৌমিক, কলকাতা: সাইবার জালিয়াতিতে টাকা খোয়ানোর প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে কলকাতা শহরে। সম্প্রতি এই আশাব্যঞ্জক চিত্র ধরা পড়েছে পুলিসেরই এক পরিসংখ্যানে। কলকাতা পুলিসের ঘরোয়া বৈঠকে এই আশার কথা শুনিয়েছেন পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা স্বয়ং। 

    সূত্রের খবর, সিপি ওই বৈঠকে বলেছেন, আগে  কলকাতায় প্রতি মাসে গড়ে ২০-২২ কোটি টাকা সাইবার জালিয়াতি হতো। বর্তমানে যা কমে প্রায় ১৬ কোটি টাকা হয়েছে। মূলত সাইবার ক্রাইম নিয়ে লালবাজারের একটানা সচেতনতামূলক প্রচারের ফলেই শহরবাসীর মধ্যে কিছুটা হলেও সতর্কতা ও সাবধানতা বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, সাইবার জালিয়াতিতে খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারের ক্ষেত্রেও কলকাতা পুলিসের সাফল্যের হার বেড়েছে। বৈঠকে  সিপি জানিয়েছেন, আগে খোয়া যাওয়া টাকার মাত্র ১০-১৫ শতাংশ উদ্ধার করা যেত। বর্তমানে খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে। সেদিক থেকে এটা পুলিসের বড় সাফল্য বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। 

    কলকাতা পুলিসের সিপি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই মনোজ ভার্মা সাইবার জালিয়াতির বাড়বাড়ন্ত রুখতে তৎপর হয়েছিলেন। কলকাতা পুলিসের প্রায় প্রতিটি মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে তিনি সাইবার প্রতারণা খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারে জোর দিতে বলেন বাহিনীকে। কলকাতা পুলিসের সাইবার থানার খোলনলচে বদলে দেন তিনি। প্রসঙ্গত, ডিজিটাল অ্যারেস্ট,  ওটিপি শেয়ার, এটিএম জালিয়াতি, হোটেল বুকিং, আধার জালিয়াতি ইত্যাদি বিবিধ কৌশলে সাইবার দুষ্কৃতীরা ফাঁদ পাতে। ফাঁদে কেউ পা দিলেই ফাঁকা হতে শুরু করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এভাবে সাইবার জালিয়াতদের খপ্পরে পড়ে রাজ্যে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা খোয়া যায়। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সাইবার জালিয়াতিতে খোয়া যাওয়া কাষ্টার্জিত টাকা উদ্ধারের জন্য লালবাজার সাইবার থানাতে পৃথক রিকভারি সেল তৈরি করা হয়। সেই সঙ্গে কলকাতা পুলিসের প্রতিটি ডিভিশনে থাকা সাইবার সেলকেও টাকা উদ্ধারে ঝাঁপাতে বলা হয়।  তারই সুফল মিলতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন কলকাতা পুলিসের শীর্ষকর্তারা। 
  • Link to this news (বর্তমান)