• সল্টলেক: হাত সাফাইয়ে ‘ওস্তাদ’, পুজোর আগে পাকড়াও তিন ‘পকেটমার’
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ভিড় বাস হোক, কিংবা ঠাকুর দেখার জনস্রোত। হাত সাফাইয়ে তারা ‘ওস্তাদ’। মোবাইল ফোন থেকে ম্যানিব্যাগ— এক নিমেষেই হাওয়া! পুজোর মুখে এমনই এক ‘পকেটমার’ গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস। তবে, একসঙ্গে নয়। একজনকে গ্রেপ্তার করার পর খোঁজ মেলে দ্বিতীয়জনের। তাকে গ্রেপ্তারের পর জেরা করে নাম পাওয়া যায় তৃতীয়জনের। তাকেও পাকড়াও করে পুলিস। তদন্তে পুলিসের অনুমান, এই চক্রে আরও কয়েকজন রয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইবার প্রতারণা বেড়ে যাওয়ায় রাস্তায় চুরি, ছিনতাই, পকেটমারি কমেছে। তবে, পুজোর মুখে রাস্তাঘাটে ভিড় বাড়ায় কিছু ক্ষেত্রে পকেটমারের উৎপাত চোখে পড়ে। কীভাবে তিনজন পাকড়াও হল? কিছুদিন আগে এক পকেটমার সল্টলেকে ভিড় বাসে উঠেছিল। সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড়ে একটি মোবাইল ফোনে হাতিয়ে সে বাস থেকে নেমে পড়ে। সে যখন দৌড়ে পালাচ্ছিল, তখন তা কর্তব্যরত পুলিসের চোখে পড়ে। পুলিস তাকে আটকে জেরা করলে জানতে পারে, সে মোবাইল নিয়ে পালাচ্ছে। তার কাছ থেকে একটি ফোন উদ্ধার হয়। ধৃত জেরায় পুলিসকে জানায়, তার নাম মহাবীর শেখ। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। তাকে পুলিসি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। জেরায় সে পুলিসকে আরও জানায়, পকেটমার চক্রে সে একা নয়। তার আরও এক সহযোগী রয়েছে। তার নাম সইফুল লস্কর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানা এলাকায় তার বাড়ি। গত ২০ আগস্ট পকেটমারি করার সময় সেক্টর ফাইভ এলাকা থেকে সে পুলিসের হাতে ধরা পড়ে। সেও একজনের পকেট থেকে মোবাইল ফোন নেওয়ার চেষ্টা করছিল। পুলিসের দাবি, জেরায় সইফুল অপরাধের কথা এবং চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে। সেই সঙ্গে সে জানায়, তার এক সঙ্গীও পকেটমারি করে। তার নাম আবার সফিকুল মোল্লা। তার বাড়িও জীবনতলায়। শনিবার রাতে জীবনতলা এলাকা থেকে তাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিস।
  • Link to this news (বর্তমান)