• ক্লাস জলে থইথই, তার মধ্যেই পরীক্ষা দিতে আসছে পড়ুয়ারা
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: স্কুলের একতলায় ক্লাস রুমে জল থইথই করছে। শিক্ষকদের বসার ঘর থেকে শুরু করে মিড ডে মিলের রান্নাঘরে পর্যন্ত জল। তবুও স্কুলে পরীক্ষা চালাতে হচ্ছে। জমা জলে পা দিয়েই আসতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। অভিভাবকরা কোলে করে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে গিয়ে ক্লাসে বসিয়ে দিচ্ছেন। ভারী বৃষ্টি হলে স্কুলের ক্লাসরুম একপ্রকার পুকুরে পরিণত হয়। বাধ্য হয়ে স্কুল ছুটি দিয়ে দিতে হয়। এই চিত্র জয়নগর ২ ব্লকের ময়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়দা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে অভিভাবকরাও নাজেহাল এই সমস্যা নিয়ে। অভিযোগ, বারংবার প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রিয়াংশু দাস বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করতে খুবই অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। জমা জলে পা দিতে দিতে অনেক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা এই ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু এখনও কাজ হয়নি। জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের মনোজিত বসু বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।    জয়নগরের ময়দা কালীবাড়ি থেকে সামান্য দূরে এই স্কুল। দোতলা ভবন রয়েছে স্কুলের। একতলায় সব কয়েকটি ক্লাস রুমেই জল জমে। এমনকী, স্কুলে ঢোকার জায়গাতেও জল জমে। স্কুলে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ১৬২ জন। শিক্ষক-শিক্ষিকা মাত্র ৪ জন। ময়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষজন এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপর নির্ভরশীল। জমা জলের পাশাপাশি স্কুলে টিউবওয়েলও বেশ কয়েক মাস ধরে খারাপ। মিড ডে মিলের রান্নার জন্য অনেক দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে। এক শিক্ষক বলেন, খুব সমস্যার মধ্যে চলছে স্কুল। একতলায় সব ক্লাসে জল বলে দোতলার ঘরে পড়ুয়াদের নিয়ে যেতে হয়েছে। একটি ক্লাস রুমে দুই শ্রেণির পড়াশোনা চলছে। মিড ডে মিলের রান্না খুব কষ্টের মধ্যে করতে হয়। ভারী বৃষ্টি চললে পড়ুয়ারাই আসে না। এক বাসিন্দা বলেন, স্কুল পুকুরের উপর মাটি ফেলে ভরাট করে তৈরি হয়েছিল। ছেলে-মেয়েদের জমা জলে পা দিয়ে শরীর খারাপ হচ্ছে। জল বের করার ব্যাপারে প্রশাসনের নজর নেই।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)