প্রায় দেড় দশকের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে সম্প্রতি। বাংলা আধুনিক সংগীতের দুই মহীরুহ — কবীর সুমন ও অঞ্জন দত্ত ফের একসঙ্গে উঠেছিলেন এক মঞ্চে। একসঙ্গে। কনসার্টের নামই আবেগের ইঙ্গিত ছিল — ‘অনেক দিন পর’। গত ২২ আগস্ট, ২০২৫ কলকাতার কলামন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই প্রায় ঐতিহাসিক আয়োজন।
বাংলা গানের দুই ধারার দুই মুখ — একদিকে সুমনের নিরীক্ষাধর্মী গান, অন্যদিকে অঞ্জনের কাব্যিক-নগরজীবনের সুর — ফের একবার একই মঞ্চে মিলিত হয়েছে। নয়ের দশক থেকে শুরু করে নতুন সহস্রাব্দের গোড়ায়, তাঁদের গানের মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠেছে এক প্রজন্ম। তাই এই যুগলবন্দি ঘিরে দর্শক-শ্রোতার আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তারই ফলাফল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহ। অনুষ্ঠানে যেমন ছিল নস্টালজিয়ার ছোঁয়া, আবার পাশাপাশি ছিল নতুন কিছু চমকও। কলকাতার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মহলও প্রায় একমত — প্রায় ১৫ বছর পর দুই বাংলা গানের কিংবদন্তি একসঙ্গে মঞ্চে, এ যেন ইতিহাসের পুনর্জাগরণ।
তবে এর মধ্যেই খানিক তাল কেটেছে একটি ঘটনা। এই অনুষ্ঠানের পর গতকাল ফেসবুকে একটি ছোট্ট অথচ রহস্যময় পোস্ট করেছেন অঞ্জন দত্ত। রহস্যময় হলেও তা অর্থবহ। কী সেই পোস্ট?
“হাফ চকোলেট এর পর হাফ টিকিট
কলকাতায় দিব্যি করে খাচ্ছে!”
এ প্রসঙ্গে অঞ্জন দত্তকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে হয়েছিল। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। তবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সূত্রে খবর, এক নামী পরিচালক নাকি এই অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ‘বন্ধু’ও। কিন্তু অনুষ্ঠানের মাঝে বিরতির সময় তিনি প্রেক্ষাগৃহ ছেড়ে বেরিয়ে যান। তখন তাঁর কাছে টিকিটের মূল্য চাওয়া হয় আয়োজকদের তরফে। তখন নাকি জবাবে সেই পরিচালক জানান, তিনি যখন অর্ধেক অনুষ্ঠান দেখেছেন, তাই অর্ধেক টিকিটের দাম দেবেন! আর ঠিক সেটাই নাকি করেছেন তিনি। অর্থাৎ অনুষ্ঠানের দামি টিকিট কিনে মাঝপথে উঠে আসার জন্য সেই টিকিটের মাত্র অর্ধেক মূল্য আয়োজকদের হাতে ধরিয়েছেন! আর এতেই নাকি বেজায় চটেছেন অঞ্জন।
কানাঘুষো, সেই পরিচালক একটা সময় নাকি অঞ্জনেরও কাছের মানুষ ছিলেন। তবে সেই তাল কেটেছে। স্বভাবতই ওই পরিচালকের এহেন কাণ্ডে মর্মাহত এবং ঈষৎ ক্ষুব্ধ অঞ্জন। তারই ফলাফল নাকি ফেসবুকে বেলা বসের প্রেমিক এর এই পোস্ট! অঞ্জন দত্ত যদিও পোস্টের বার্তা বাক্স অফ করে দিয়েছেন, তবু তার মধ্যেই বেশ কিছু ধারালো কমেন্ট এসে জড়ো হয়েছে সেই পোস্টে। একজন লিখেছেন, “এই ব্যাপারটা কি কলকাতার নতুন ট্রেন্ড? পুরো শো দেখেননি বলে অর্ধেক টাকা দেওয়া? ছি ছি।” নজর কেড়েছে আরও এক নেটপাড়ার সদস্যের বার্তা – “হাফ টিকিট বলে সত্যি কিছু নেই!”