• আমি এসব বললে কখন ট্রোলড হয়ে যাব জানি না: মমতা শঙ্কর
    এই সময় | ২৬ আগস্ট ২০২৫
  • অন্য সময় প্রাইম: সপ্তাশ্ব বসুর ‘দেরি হয়ে গেছে’– তে আপনার চরিত্রটি ঠিক কেমন?

    মমতা: খুবই ইমোশানাল একটি চরিত্র। বহু বছর পর প্রাক্তনের মুখোমুখি এবং জীবনে যা করা হয়নি, সেখান থেকেই জীবন শুরু করতে চলেছে আমার এই চরিত্রটি।

    অন্য সময় প্রাইম: অঞ্জন দত্তের সঙ্গে বহুবার দেখা গিয়েছে আপনাকে। কমফর্ট জ়োনটা তো তবে প্রবল, তাই তো?

    মমতা: ওঁর সঙ্গে এই নিয়ে আমার ১৭ নম্বর কাজ। এখন একে অন্যের দিকে তাকালেই দু’জনে-দু’জনার এক্সপ্রেশন বুঝতে পারি। আমার ধারণা জুটি বেঁধে এত কাজ বোধহয় আমি অঞ্জনের সঙ্গেই করেছি।

    অন্য সময় প্রাইম: এই ছবিতে দুই প্রাক্তন মুখোমুখি। প্রাক্তন কি কখনও ক্লোজ়ড চ্যাপ্টার হয়?

    মমতা: প্রাক্তনের একটা আলাদা জায়গা থাকে। জীবন নিজের গতিতে এগোতে থাকে। আমাদের জীবনের সঙ্গে অনেক কিছু জুড়েও যায়। কোনও প্রতীক্ষা থাকে না। শুধু ভালো চাওয়া থাকে। আমি অন্তত তাই বিশ্বাস করি। তবে নতুন জেনারেশনের কাছে সম্পর্কের সমীকরণটা কী বলতে পারব না।
    বর্তমান সময়ে মানুষ বড় অসহিষ্ণু। তাই তাঁদের কাছে সম্পর্কের সমীকরণটা ঠিক কী, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কোনও সম্পর্ক যদি না টেকে তবে তা নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করতেও এতোটুকু বাঁধে না কারও। আমি আবার এসব বললে কখন ট্রোলড হয়ে যাব জানি না।

    অন্য সময় প্রাইম: আজকাল কি তবে মমতা শঙ্কর কথা বলতে গেলে একাধিকবার ভাবেন?

    মমতা: ভাবতে হয়। কারণ বাড়ির লোক চিন্তায় পড়ে যান। আমাকে সকলে বলেন, কোনও মন্তব্য না করতে। কিন্তু আমি পারি না জানেন। যা বিশ্বাস করে এসেছি তা বলতে গেলে এত ভয় পেতে হবে কেন? আমি এতদিন যা যা বলে এসেছি তা নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। আজকাল তো কেউ কুকুর পুষলে এবং সেই কুকুরটিকে কুকুর বলে ডাকলেও লোকে তেড়ে আসে।
    আপনি বলুন কুকুর কে কী বলে ডাকলে তাকে সম্মান করা হবে? অতএব এই প্রহসনে আমার কিছু এসে যায় না। যা দেখছি তাই বলছি, এবং আগামী দিনেও বলব। স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে যে মন্তব্য আমি করেছি সে প্রসঙ্গে আবারও বলব। যেভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য যেভাবে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় সেটা কি সত্যিই রুচিকর? আমরা কি জানি না কোন পদ্ধতিতে কী হয়? এত ফলাও করে টিভির পর্দায় সেটা দেখানোর তো কিছু নেই। এটা বলেছি বলে যদি আমাকে কেউ ব্যাকডেটেড মনে করেন করবেন। আমার কিছু যায় আসে না।
    আসলে আমরা ভাবছি যে আমরা অগ্রগতির পথে যাচ্ছি। আমার প্রশ্ন হলো ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ-এর থেকে আধুনিকা কে আছেন বলুন তো? বর্তমানের এই তথাকথিত আধুনিকীকরণটা আমাদের দশ পা পিছিয়ে দিচ্ছে। যদি আমরা কিছুই না মানি, তবে বাথরুম ইউজ় করি কেন? আমি জানি এই সাক্ষাৎকারের পরেও হয়তো অনেকে রে রে করে উঠবেন। কিন্তু বলা আমি থামাতে পারব না। আর আমি তো কাউকে বলিনি আমার নিয়মেই চলতে হবে। যারা বাক স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন, তাঁরা কেন আমার বক্তব্য মানতে পারছেন না? এটা তো আমার ভাবনা চিন্তা। আমি কারও উপর চাপিয়ে দিইনি। নিজে যা বিশ্বাস করি তাই বলেছি।

    অন্য সময় প্রাইম: ছেলে এবং বৌমাদের নিয়ে আপনার সংসার। আপনি যে চিন্তা ভাবনায় বিশ্বাসী সংসারে সকলে তা সহজে মানতে পেরেছেন?

    মমতা: কোনওদিন সমস্যা হয়নি। কারণ আমার ছেলেরা তো আমার কাছেই মানুষ। আর আমার দুই বৌমা ছোট থেকে আমার কাছে নাচ শিখেছে। ওদের পরিবারও আমার ধ্যান-ধারণাতেই বিশ্বাসী। তাই কখনও মতান্তর হয়নি। ওরা আমার দিকটা বোঝেন। কিন্তু এত আক্রমণ মানতে পারেন না।

    রোজ রাতে চোখের জলে বালিশ ভিজত: পার্থ বেরা
    অন্য সময় প্রাইম: এই বিতর্কের মাঝেই আপনার পরিবারেরই সদস্য অর্থাৎ শ্রীনন্দা শঙ্কর আপনার বিপক্ষেই কথা বলেছেন। এটাকে কী ভাবে দেখেন?

    মমতা: আমি আগে যে কথাগুলো বললাম সেগুলো কিন্তু সকলের জন্য। যে ভাষায় আমাকে আক্রমণ করা হয়েছে সেটা খুব রুচিকর? আমার রুচি নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা নিজেদের রুচির ঠিক কী পরিচয় দিলেন, এটাই আমার প্রশ্ন।

    অন্য সময় প্রাইম: অনেকের মতে শ্রীনন্দা শঙ্করের এই পোস্ট আপনাদের পারিবারিক বিবাদ এর একটা প্রতিচ্ছবি।

    মমতা: যদি পারিবারিক কোনও বিবাদ থেকেও থাকে, তবে সেটাকে বাইরে নিয়ে আসাটা কি সম্মানের? আমার তো মনে হয় না। যাঁদের মনে হয় তাঁরা এই ধরনের কাজ করবেন। আমি এই ধরনের মানসিকতায় বিশ্বাসী নই।
  • Link to this news (এই সময়)