সংবাদদাতা, বারুইপুর: পরিবার নিয়ে কেদারনাথ দর্শন করা হল না টোটো চুরির পান্ডার। নাম চন্দন সরকার। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। চা বিক্রেতা, ট্রেনের যাত্রী, ফেরিওয়ালা সেজে হাওড়া স্টেশন থেকে তাকে ধরে ফেলল বারুইপুর থানার পুলিসের বিশেষ দল। চন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের আরও এক সঙ্গী রিসিভার নদীয়ার চাকদহ দরাতপুরের এক বাসিন্দার হদিশ পায় পুলিস। অভিযুক্তের নাম রামপদ মণ্ডল। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে মোট সাতটি চোরাই টোটো। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রামপদ নদীয়ার দরাতপুরের বিজেপি নেতা।
সম্প্রতি বারুইপুর থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক চুরি হচ্ছিল। গত এক মাসে অন্তত ১২টি টোটো চুরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত ১৫ আগস্ট শহরের কাছারি বাজারের সামনে থেকে একটি টোটো চুরি হয়ে যায়। টোটোর মালিক অজিত বিশ্বাস থানায় অভিযোগ করেন। এনিয়ে হইচই হওয়ার পরে বিশেষ উদ্যোগ দেখা যায় পুলিসের অন্দরে। বারুইপুর থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়ের নির্দেশে এসআই রনি সরকারের নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠিত হয়।
সূত্রের খবর, টোটো চুরির তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। তা খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা হদিশ পান পান্ডা চন্দনের। গত সোমবার পরিবার সহ কেদারনাথ দর্শনের জন্য হাওড়া স্টেশনে হাজির হয়েছিল সে। পুলিশের ওই দল জানতে পারে, চন্দন কুম্ভ এক্সপ্রেস ধরবে। সেই মতো প্ল্যান তৈরি করেন তদন্তকারীরা। দুপুর ১টা নাগাদ স্টেশন থেকে তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়।
পুলিস জানিয়েছে, চন্দন টোটো চুরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াত। কাছে রেখে দিত ব্যাটারি চার্জারও। এই চন্দনের সঙ্গে ‘রিসিভার’ রামপদর জেলে আলাপ হয়েছিল। চন্দন চুরি করে টোটো পৌঁছে দিত রামপদর কাছে। রামপদ টোটো বিক্রি করত সর্বাধিক ১ লক্ষ টাকায়। কখনও কখনও মাত্র ২৫ হাজার টাকায় টোটো বিক্রি হয়ে যেত। পুলিস জানতে পেরেছে, এই টোটো চুরি চক্রের সঙ্গে বারুইপুরের কেউ জড়িত। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।