আবার পিছিয়ে গেল ওবিসি সংক্রান্ত শংসাপত্র মামলার শুনানি। শীর্ষ আদালতে ওবিসি মামলা এর আগেও পিছিয়ে গিয়েছিল। গত ২৮ জুলাই ওবিসি সংক্রান্ত মামলাটি শীর্ষ আদালতে ওঠে। ১১ আগস্ট মামলাটির শুনানির কথা থাকলেও তা হয়নি। সময় না থাকায় তা পিছিয়ে যায়। আবার পরের দিন শীর্ষ আদালতের তালিকায় মামলাটি নথিভুক্ত না থাকায় মামলাটির শুনানি হয়নি।
এরপরে সোমবার আবার শীর্ষ আদালতে ওবিসি সংক্রান্ত মামলাটি পিছিয়ে গেল। মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে ১ সেপ্টেম্বর। ২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাইকোর্ট ওবিসি সংক্রান্ত শংসাপত্র বাতিল করে। ২০১০ সালের পরে তৈরি সমস্ত ওবিসি শংসাপত্রগুলিকে বাতিল করা হল বলে ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে এই রায়ের উপরে আপত্তি জানায় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরে মামলাটি শীর্ষ আদালতে তোলা হয়। এরপর থেকে শুনানির দিন বারবার পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল যান। সেখানে ওবিসির মূল মামলার উপর স্থগিতাদেশের আবেদন জানাতে যান তিনি। আবেদন ছিল আদালতের পূর্ববর্তী নির্দেশের উপর নিজেদের মতামত প্রকাশের জন্য বেশ কিছু সময় চেয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার।
২০২৪ সালের ২২ মে হাইকোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্রগুলিকে বাতিল করার কথা ঘোষণা করা হয়। তবে এর সঙ্গে আদালত জানিয়েছিল, এই শংসাপত্র বাতিলের ক্ষেত্রে আগে থেকেই যারা শংসাপত্রের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে, তাদের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু ২০১০ সালের পরের শংসাপত্রগুলি পুরোপরিভাবে বাতিল করা হয়েছিল। এই শংসাপত্র অনুযায়ী আর কেউ চাকরি পাবে না বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের পর হাইকোর্টের বক্তব্য ছিল ২০১০ সালের আগে ওবিসি হিসাবে ৬৬ টি আদিবাসী সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপরে আদালত থেকে বলা হয় রাজ্য যাতে একটি সমীক্ষা করে ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের একটি তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকা হবে ব্যক্তির আর্থিক, সামাজিক ও পেশাগত দিকগুলি বিচার করে। এরপরে রাজ্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়েও মামলা দায়ের করা হয় হাইকোর্টে। গত ১৭ জুন এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের এই বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপরে হাইকোর্টের এই নির্দেশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালত রাজ্যের এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। গত ১১ আগস্ট এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়না।
ওবিসি সংক্রান্ত মামলায় জটের কারণে জয়েন্ট এন্ট্রাসের ফলপ্রকাশ করতে দেরি হয়। অবশেষে শীর্ষ আদালতে এই মামলা ওঠার পরের দিন পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করা হয়।