একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস মমতার, উপকৃত হবেন বর্ধমানের লাখ লাখ মানুষ ...
আজকাল | ২৭ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল মাঠের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী আজ দুই বর্ধমান জেলার এক গুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। খবর অনুযায়ী, তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার মোট ১৪৫২ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। যার অর্থ মূল্য আনুমানিক ৭৮৪ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। একইসঙ্গে ৬৯৯ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার ১৭১ টি প্রকল্পের শিলান্যাস করে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বর্ধমান আরামবাগ রোডে দামোদরের উপর নতুন শিল্প সেতু।
পাশপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার ২৪ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। যার অর্থমূল্য ১১০ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে আসানসোলের কল্যাণপুরে জেলাশাসক এবং পুলিশ কমিশনারেটের নতুন ভবন। ২৩ টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন, যার অর্থমূল্য ৫১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা।
সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী এদিন কৃষি জমি ও বসত জমির পাট্টা প্রদান করেন এবং একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তিনি উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেন। এমনকী ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের তিনি ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সবুজ সাথী প্রকল্পে আরও ১২ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীকে সাইকেল দেওয়া হবে। আজ বর্ধমান থেকে সেই কাজ শুরু হল।
মুখ্যমন্ত্রী এদিনও কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হন। তিনি অভিযোগ করেন বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রীর সভা চলাকালীন টেট উত্তীর্ণ চাকুরিপ্রার্থীরা নিয়োগে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে প্ল্যাকার্ড তুলে ধরে। সাংবাদিকরা সেই ছবি তুলতে গেলে সাময়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এহেন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য কিছুক্ষণের জন্য থামিয়ে দেন। যদিও তিনি চাকুরিপ্রার্থীদের দাবি নিয়ে কোনও কথাই বলেননি এদিন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, এরপরে মিটিং সাংবাদিকদের বসার জায়গার পিছনে যেন ব্যরিকেড করা হয়, যাতে সভাস্থলে থাকা মানুষদের দেখতে অসুবিধা না হয়। দুপক্ষেরই সুবিধা হয়।
এদিনের সভামঞ্চে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, অরুপ বিশ্বাস, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, জেলা শাসক আয়েশারানী এ, জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস, জেলাপরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, দুই সাংসদ কীর্তি আজাদ, ডা: শর্মিলা সরকার, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, শম্পাধারা, নিশীথ মালিক, খোকন দাস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে একহাত নেন। তিনি বলেন, 'পাঁচটা স্কিম বন্ধ। সেগুলোও আমাদের চালাতে হচ্ছে'। বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'এবছর একশো দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। জলস্বপ্নের পাইপ পড়ে আছে, তাও টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে'।
তিনি বলেন, '৭৬ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায় নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি ৭৮ শতাংশ শহুরে এলাকায় পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এর জন্য ইতিমধ্যেই ৩৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আরও ৬৫ হাজার কোটি টাকা লাগবে।' তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে পাঁচটা স্কিম বন্ধ, সেগুলোও আমাদের চালাতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জিএসটি তুলে দিতে বলেছিলাম, সেটা করেনি। এর জন্য আমাদের ৯০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে'।