আজকাল ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার অন্তর্গত বল্লালপুর এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবা এবং ছেলের। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের ৬ জন কর্মী। আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ,মৃত ব্যক্তির নাম আবু তাহের শেখ (৫০)এবং তার ছেলের সুমন শেখ (২৪)। দু'জনেরই বাড়ি ফরাক্কা থানার দামোদরপুর এলাকায়। ব্যক্তিগত কোনও একটি কাজ সেরে বাড়ি ফেরার মুখে তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তাদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ আবু তাহের শেখ তার ছেলে সুমন শেখকে নিয়ে মোটরসাইকেল করে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ফরাক্কার দিক থেকে জঙ্গিপুরের দিকে যাওয়ার সময় একটি ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে বাইকটিকে ধাক্কা মারে। এর ফলে বাবা এবং ছেলে দু'জনেই জাতীয় সড়কের উপর ছিটকে পড়েন। এরপরই ডাম্পারটি গতি বাড়িয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎ দপ্তরের কিছু কর্মীকে নিয়ে যাওয়া একটি মোটর চালিত ভ্যান গাড়িতে ধাক্কা মারে।
ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্থানীয় একটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগে কিছু সমস্যা হওয়ায় বিদ্যুৎ দপ্তরের ৬ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী একটি মোটর চালিত ভ্যানে করে ওই গ্রামে গিয়েছিলেন মেরামতির কাজ করার জন্য। সূত্রের খবর তারা যখন ফিরে যাচ্ছিলেন সেই সময় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বল্লালপুর মোড়ে ঠিক কাছেই মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা মারার পর ডাম্পারটি ওই মোটরচালিত ভ্যানটিকে সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে। ফরাক্কা থানার পুলিশ ঘাতক ডাম্পারটিকে ধরার চেষ্টা করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলেন, ডাম্পারের ধাক্কায় মোটরচালিত ভ্যানে থাকা বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা সকলেই জাতীয় সড়কের এদিক-ওদিক ছিটকে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারাই মোটরসাইকেলের দুই আরোহী এবং মোটর চালিত ভ্যানের আরোহীদেরকে ফরাক্কার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানেই বাবা এবং ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে বিদ্যুৎ দপ্তরের ৬ জন কর্মীর মধ্যে তিন জনের আঘাত অত্যন্ত গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে জঙ্গিপুর সুপার মহকুমা হাসপাতালে রেফার করে দেন ওই বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তাররা এই দুর্ঘটনার উপর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি লেন দিয়ে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। পরে ফরাক্কা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।