• ডাক্তার হওয়ার চাপ, স্বপ্নের ‘মৃত্যু’ সহ্য করতে না পেরেই ‘আত্মঘাতী’ উনিশের দীপশিখা?
    প্রতিদিন | ২৭ আগস্ট ২০২৫
  • চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: নিটে ছিল দুর্দান্ত রেজাল্ট। ডাক্তার হতেই হবে। পরিবারের এই ইচ্ছেটা চাপিয়ে দেওয়াই কাল হল! ১৯ বছরেই ইতি ঘটল সব স্বপ্নের। এ যেন বাস্তবের ‘থ্রি ইডিয়টস’। মৃত ওই ছাত্রীর নাম দীপশিখা মাইতি।

    নন্দীগ্রামের খোদামবাড়ি এলাকার বাসিন্দা তিনি। সোমবার গভীর রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই ছাত্রী। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক চাপ থেকেই এই ঘটনা। যদিও ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    পরিবার সূত্রে খবর, ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন দীপশিখা। স্বপ্ন দেখতেন গবেষক হওয়ার। এমনকী ইসরোর মহাকাশ গবেষণাতে সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু বাবা-মা চান, মেয়ে পড়ুক ডাক্তারি। আর তা নিয়ে মাঝে মধ্যেই পরিবারের সঙ্গে মতবিরোধ লেগেই থাকত দীপশিখার। নিট পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলেও ডাক্তার হতে চাননি তিনি।

    কিন্তু পরিবারের চাপে শেষমেশ ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করতে রাজি হন। কিন্তু মন থেকে মেনে নিতে পারেননি দীপশিখা। জানা যায়, আজ মঙ্গলবার বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল তাঁর। বাসের টিকিটও বুক করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন দীপশিখা।

    পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন মেধাবী দীপশিখা। মঙ্গলবার সকালে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, রাগে-অভিমানে সম্ভবত আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ওই মেধাবী ছাত্রী। যদিও অন্য কোনও কারণ আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পরিবার। মৃতের বাবা জানিয়েছেন, সোমবার রাতেও কথা হয়েছিল। ডাক্তারি পড়ার পর ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে সংশয় ছিল। “মেয়ে যে এমন সিদ্ধান্ত নেবে তা ভাবতেও পারিনি”, বলছেন শোকার্ত বাবা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)